গম গাছে বিষাক্ত কিছু দিয়ে পাখি শিকার করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে বোলপুর থানার রূপপুর পঞ্চায়তে এলাকায়। নজরদারির ব্যবস্থা করা-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে বন দফতরে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বীরভূমের ডিএফও সন্তোষা জি আর বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা জেলার সমস্ত জায়গায় বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের সতর্ক করেছি। পাখি শিকারিদের দেখা মাত্র গ্রেফতার করতে বলেছি। পাশাপাশি যে সব এলাকায় প্রচুর পাখি আসে, ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হচ্ছে।”
রূপপুর পঞ্চায়তের ইসলামপুর ও আশপাশের মৌজায় ঘুঘু, তিতির ও শালিকের প্রচুর পালক দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। বিষয়টি বোলপুর রেঞ্জারকে জানিয়ে চোরা শিকারিদের সন্ধানে নামেন বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বেরগ্রাম বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা পশুপ্রেমী সঞ্জয় মাজি।
তিনি বলেন, “গত শনিবার থেকে সমানে ইসলামপুর মৌজা এবং আশপাশের এলাকায় আমারা খবর নিয়ে জানতে পারি, বল্লভপুর অভয়ারণ্য লাগোয়া এলাকায় বেশ কিছু চোরা পাখি শিকারি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে বোলপুরের রেঞ্জারকে জানানো হয়।”
তাঁর দাবি, “ওই এলাকায় রাতের দিকে শিকারিরা গম শস্যে বিষাক্ত কিছু দিয়ে পাখিদের শিকার করছে। শিকারিদের খোঁজে গিয়ে একাধিক ইটভাটা এলাকায় শয়ে শয়ে পাখির পালক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় তরল জাতীয় বিষ মেশানো বেশ কিছু গমও।”
বোলপুরের রেঞ্জার অনিল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর বনদফতরের উদ্যোগে মৃত পাখির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” এলাকার পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যা ঊর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পাখি শিকারিদের আনাগোনা আবার বেড়েছে। প্রয়োজনীয় নজরদারি-সহ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |