আশ্বিনের চড়া রোদে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির খোলা মাঠের থিকথিকে ভিড়টা দরদরিয়ে ঘামছিল। বেলা এগারোটার আশপাশ। একটু পরেই শুরু হবে শান্তিপুর পুরসভা আয়োজিত চতুর্থ বর্ষ আন্তঃ বিদ্যালয় নাট্যোৎসব। ৩৮০ জনের হল কখন ভরে গিয়েছে। বাকিরা বাইরে। বেশির ভাগই স্কুল পড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার তিন দিনের ওই নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। বাইরের ভিড়টা তখন ‘শান্তিপুরের নাট্যচর্চার ইতিহাস’ প্রদর্শনীতে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেলেন উদ্যোক্তারা। |
অন্যতম উদ্যোক্তা শান্তিপুরের পুরপ্রধান তথা স্থানীয় বিধায়ক অজয় দে বলেন, “শান্তিপুরে মাত্র একটি ছোট হল। চারশো মানুষেরও জায়গা হয় না। সেখানে তেরোটি স্কুলের সাড়ে পাঁচশো ছেলেমেয়ে নাটক করছে। অথচ সবাইকে নাটক দেখার সুযোগটুকু করে দিতে পারছি না। একটি বড় হলের খুব দরকার।”
অভিভূত দেবশঙ্করও। বললেন, “এভাবে নাটকের জন্য পাঁচ-ছ’শো ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছে। বাইরে চড়া রোদে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে। এটা বড় পাওনা।” শান্তিপুর সাংস্কৃতিক-এর কর্ণধার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্তিপুরের তিনটি নাট্যদল, রঙ্গপীঠ, সাজঘর এবং আমরা কয়েকটি স্কুল ভাগ করে নিয়ে কর্মশালার মাধ্যমে নাটকগুলো তৈরি করিয়েছি। কিছু স্কুল শিক্ষক নিজেরাই এই কাজটা করেছেন।
|