আজকের শিরোনাম
এএফসি কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাওয়ে ম্যাচে সেমেন পাদাংয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ডেম্পোর পর এক মাত্র ভারতীয় দল হিসেবে এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল। যদিও প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটের মাথায় গোলকিপার গুরপ্রীতের ভুলে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। এমনকী, খেলার প্রথমার্ধ জুড়ে ইন্দোনেশিয়ার দলটির দাপট বজায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ৭৩ মিনিটের মাথায় জেমস মোগার করা গোলে সমতা ফেরায় তারা। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতার কারণে খেলা ড্র করে ২-১ গোল পার্থক্যে সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল।

কলকাতা ও যাদবপুরের দুই উপাচার্যকে ডাক রাজ্যপালের
শিক্ষাঙ্গনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বিকেলে রাজভবনে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্বাবিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য ও সুরঞ্জন দাসকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বিকেল চারটে নাগাদ দুই উপাচার্যই রাজভবনে যাবেন বলেন জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ঘেরাও ছিলেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। সেই ঘেরাও ওঠার দু’দিনের মধ্যেই ফের গত কাল একই পরিস্থিতির শিকার হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-সহ অন্য কয়েক জন পদাধিকারী। এ ক্ষেত্রে যদিও তাঁদের মুক্ত হতে ৫০ ঘণ্টা সময় লাগেনি, তবে দুপুর থেকে চলা সেই ঘেরাও উঠতে রাত গভীর হয়ে গিয়েছিল। সরকারের তরফে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যাদবপুরের ঘেরাও প্রসঙ্গে ‘ব্ল্যাকমেলিং’ শব্দটি ব্যবহার করে প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেছিলেন। আচার্য হিসেবে এই দু’টি ঘটনায় রাজ্যপাল সবিস্তার আলোচনা করতে চেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন শিক্ষাঙ্গনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কয়েক দিন আগে শিক্ষাঙ্গনের ‘অরাজকতা’ নিয়ে রাজ্যপাল ‘লাঠ্যৌষধি’ প্রয়োগ করতে বলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

রাজ্যের ১২টি পুরসভার ফলাফল
পঞ্চায়েতের মতোই পুরসভা ভোটেও জয়ের ধারা অব্যাহত তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যের মোট ১২টি পুরসভার যে ফলাফল আজ ঘোষিত হয়েছে সেখানে ৮টি পুরসভাই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। ২টিতে কংগ্রেস ও ১টিতে বামফ্রন্ট একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে। আর একটি পুরসভায় কার্যত ত্রিশঙ্কু অবস্থা।
যে ১২টি পুরসভায় গত শনিবার নির্বাচন হয়েছিল সেগুলি হল গুসকরা, ডায়মন্ড হারবার, বালুরঘাট, হাবরা, পানিহাটি, বর্ধমান, চাকদহ, হলদিবাড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুবরাজপুর, মেখলিগঞ্জ এবং ডালখোলা। এর মধ্যে গুসকরা, ডায়মন্ড হারবার, বালুরঘাট, হাবড়া, বর্ধমান, চাকদহ, পানিহাটি ও দুবরাজপুর পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দখলে রেখেছে। তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান ও চাকদহে। সেখানে সিপিএম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল শেষ মুহূর্তে। স্বাভাবিক ভাবেই ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে কার্যত ওই দু’টি পুরসভা বিরোধী শূন্য হয়ে গিয়েছে। বর্ধমানে ৩৫টা এবং চাকদহের ২১টা ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই তৃণমূল জিতেছে।
ডালখোলায় ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টির ফল ঘোষণা হয়েছে। একটি আসনে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে ভোটগণনা অসম্পূর্ণ থাকলেও বোর্ড কিন্তু গঠন করছে কংগ্রেস। ডালখোলার সঙ্গে হলদিবাড়িতেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা। অন্য দিকে মেখলিগঞ্জ পুরসভা এ বারও রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে।
অন্য দিকে আলিপুরদুয়ার পুরসভায় ২০টা ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৬টি করে এবং বামফ্রন্ট ৮টি আসন জিতেছে। ফলে ওই পুরসভায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা কেউই পায়নি, ফলাফল— ত্রিশঙ্কু।

গুসকরা
মোট আসন
১৬

তৃণমূল

বামফ্রন্ট

কংগ্রেস

অন্যান্য
১১

ডায়মন্ড হারবার
মোট আসন
১৬
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
১০

বালুরঘাট
মোট আসন
২৫
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
১৪ ১১

হাবরা
মোট আসন
২৪
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
১৫

পানিহাটি
মোট আসন
৩৫
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
৩০

বর্ধমান
মোট আসন
৩৫
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
৩৫

চাকদহ
মোট আসন
২১
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
২১

হলদিবাড়ি
মোট আসন
১১
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
 

আলিপুরদুয়ার
মোট আসন
২০
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য
 

দুবরাজপুর
মোট আসন
১৬
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য

মেখলিগঞ্জ
মোট আসন
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য

ডালখোলা
মোট আসন
১৬
তৃণমূল বামফ্রন্ট কংগ্রেস অন্যান্য

সামগ্রিক চিত্র
মোট পুরসভা
১২

তৃণমূল

বামফ্রন্ট

কংগ্রেস

ত্রিশঙ্কু



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.