মজে যাওয়া এক ডোবার পাশে থাকা গাছে উল্টো করে বাঁধা অবস্থায় এক বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে গাজলে কালীতলা গ্রামে। উদ্ধারের সময়ে মৃতার শরীরে পোশাক ছিল না। দেহে পচন ধরে যাওয়ায় কোনও অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কিনা জানাতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
তিন দিন ধরে ২৩ বছর বয়সী ওই বধূ নিখোঁজ ছিলেন। গত বুধবার রাতে ওই বধূকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে গ্রামবাসী এবং পরিবারের একাংশের অভিযোগ। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গাজল থানায় খুনের অভিযোগ করেছেন মৃত বধূর বাবা। মৃতার বাবা সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ না করলেও বিবস্ত্র অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের একাংশ বধূকে খুনের আগে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে করছে। জেলার পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই গৃহবধূকে খুনের প্রমাণ মিলেছে। দেহ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। খুনের আগে ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা বধূর বাপের বাড়ি কালীতলা গ্রামে। দু’বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই গ্রামেই দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। মাস পাঁচেক আগে তাঁর স্বামী কাজের খোঁজে কেরলে গিয়েছেন। দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন বধূ। পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার গভীর রাতে শিশুকন্যার কান্না শুনে পড়শিরা গিয়ে বাড়িতে বধূকে খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন। পরের দিন বধূর বাবা গাজল থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন। এ দিন সকালে গ্রামের এক মহিলা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে গাছের সঙ্গে দড়ি বাঁধা অবস্থায় বধূর দেহ দেখতে পান। মৃতার দেহে পোশাক না থাকায় খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। মৃতার বাবার অভিযোগ, গ্রামেরই তিন যুবক তাঁর মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করত। তাঁরাই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই পেশায় দিনমজুর। মৃত বধূর বাবা বলেন, “যারা আমার মেয়েকে মারল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” |