টুকরো খবর
হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফেলে রাখার নালিশ
সাপ ছোবল মারা এক রোগীকে টানা ১৬ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শেষে রাজ্যের এক প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তার ফোন পেয়ে রোগীর চিকিৎসা শুরু করলেও তাঁর পরিস্থিতি ‘আশঙ্কাজনক’ জানিয়ে কলকাতা রেফার করা হয়। পরে রোগীর বাড়ির লোক পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর দ্বারস্থ হলে, মন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় না পাঠিয়ে মেডিক্যাল কলেজে রেখেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম অনিতা হালদার। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ পুরাতন মালদহের সাহাপুরের বাসিন্দা অনিতাদেবীর পায়ের আঙ্গুলে সাপ ছোবল দেয়। পোকা কামড়েছে ভেবে ক্ষতস্থানে চুন লাগিয়ে রাখেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে রাত তিনটের সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর স্বামী ওষুধের দোকানের কর্মী অনিলবাবুর অভিযোগ, “ভর্তির সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের বলি ওকে সাপ কামড়েছে কি না বুঝতে পারছি না। সব কিছু শোনার পরে ওকে মহিলা সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাককে ফোন করে সব জানাই।” প্রাক্তন অধিকর্তার ফোনে চিকিৎসা শুরু করে হাসপাতল জানায় রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে। সে খরচ তাঁদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় জানিয়ে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর দ্বারস্থ হন অনিলবাবু। মন্ত্রীই মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান। তাঁর নির্দেশেই ফের অনিতার চিকিৎসা শুরু হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাস বলেন, “প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ফোন না করলে কিছু জানতাম না। রোগীর রক্ত পরীক্ষায় জানা যায় ওঁকে সাপে কামড়েছে।”

হোমিওপ্যাথি কলেজ ঘিরে দুশ্চিন্তা পুরুলিয়ায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ চেয়ে অপেক্ষায় পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মীরা। আজ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর পুরুলিয়া সফরে আসার কথা। কলেজের অধ্যক্ষ মণীন্দ্রনাথ জানা বলেন, “গত ডিসেম্বর মাসে পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া স্কুল ময়দানের প্রকাশ্য প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই কলেজটি বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার কলেজটি অধিগ্রহণ করে চালু করবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আমরা আশায় রয়েছি। এই জেলার জন্য তিনি অন্য যে সমস্ত প্রকল্পগুলির কথা বলেছিলেন তার অনেকগুলির কাজ হচ্ছে। কিন্তু আট মাস হয়ে গেলেও আমাদের কলেজটি নিয়ে কাজকর্ম কতটা এগিয়েছে জানতে পারিনি।” ছাত্রছাত্রী ভর্তি করার ও পঠন-পাঠনের মতো পরিকাঠামো নেই বলে দাবি করে ২০০৮ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা আয়ুষের নির্দেশে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে এই কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার পুনরায় চালু করার জন্য অনুরোধ জানান। কাজ হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, মাসের পর মাস চিকিৎসক ও কর্মীদের বেতন নেই। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘোষণা করায় তাঁরা আশায় বুক বেঁধেছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো বলেন, “একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াটা উচিত নয়। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করব।”

চিকিৎসকদের মত বিনিময়
এত বেশি ‘সুপার স্পেশ্যালিটি’ বিভাগ তৈরি হয়ে চিকিৎসাবিদ্যার সামগ্রিক দিকটি কি অবহেলিত হচ্ছে? রোগীরা কি বিভ্রান্ত হচ্ছেন? এ বার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চলেছেন চিকিৎসকেরাই। লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স, কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতাল ও অ্যাসোসিয়েশন্স অফ ফিজিশিয়ান্স-এর রাজ্য শাখা আগামী মাসে কলকাতায় যৌথ ভাবে এই সম্মেলন করতে চলেছে। ‘মেডিকন ২০১৩’ নামে এই সম্মেলনের অধিকর্তা সুজিত করপুরকায়স্থের দাবি, রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স-এর মতো সংগঠন এর আগে পূর্বাঞ্চলে এমন সম্মেলন করেনি। তিনি বলেন, “চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির নানা দিক তো আলোচিত হবেই, চিকিৎসার সামগ্রিক দিকটি কী ভাবে সর্বদা খেয়াল রাখা যায়, সে নিয়েও চিকিৎসকেরা মত বিনিময় করবেন।” থাকবে মেডিক্যাল শিক্ষা নিয়ে আলোচনা। আয়োজক কমিটির সভাপতি, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেডিক্যালে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রশিক্ষণ দেবেন রয়্যাল কলেজের পরীক্ষকেরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.