ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনকে চাঙ্গা করতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দুটি ট্রান্সফর্মার কারখানা গড়তে চায় অ্যান্ড্রু ইয়ুল। এর মধ্যে একটি হবে এ রাজ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঠাকুরপুকুরের কাছে বাঁকড়াহাটে এবং অন্যটি চেন্নাইয়ে।
চা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসায় ভাল ফল করলেও অ্যান্ড্রু ইয়ুলের ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনের অবস্থা ততটা ভাল নয়। সংস্থার চেয়ারম্যান কল্লোল দত্তের দাবি, কম উৎপাদন ক্ষমতাই এ জন্য দায়ী। এর কারণ এক দিকে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। অন্য দিকে, ট্রান্সফর্মারের বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে না-পারা। সংস্থাটি এখনও ১৩২ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার তৈরি করলেও চাহিদা বাড়ছে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন (৭৫০ কেভিএ পর্যন্ত) ট্রান্সফর্মারের। এই পরিস্থতিতে ঘুরে দাঁড়াতে তাই নয়া কৌশল নিতে চাইছেন তাঁরা।
কল্লোলবাবু জানান, আধুনিক প্রযুক্তির জন্য রুশ সংস্থার হাত ধরার পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই নয়া কারখানা তৈরির ভাবনা। চেন্নাইয়ে বর্তমানে চালু কারখানাটিই সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র তার সম্প্রসারণ করা হবে। লগ্নি হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
বাঁকড়াহাটে লগ্নি হওয়ার কথা ১০০ কোটি টাকা। তবে সেটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কয়েকটি বিষয়ের উপর। সংস্থাটি বিদ্যুৎ বণ্টনের জন্য ট্রান্সফর্মার তৈরি করতে শুরু করেছে। সেই পণ্যের চাহিদা বজায় থাকলে কারখানা তৈরির প্রস্তাব আগামী বছরে কার্যকর হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। কল্লোলবাবু জানান, সম্প্রতি ওই ধরনের ট্রান্সফর্মার তৈরির জন্য কর্নাটক সরকারের কাছ থেকে তাঁরা বরাত পেয়েছেন। কলকাতার সংস্থা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকেও তাঁরা এ ধরনের সহযোগিতা আশা করেন।
সার্বিক ভাবে অবশ্য সংস্থা পরপর ৬ বছর মুনাফার মুখ দেখল। কল্লোলবাবু জানান, বিগত ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে ১৪ কোটি টাকার মুনাফা হয়েছে। চা ব্যবসায় সাফল্যের জন্যই এই ফল সম্ভব হয়েছে। সংস্থার মোট ব্যবসা ছুঁয়েছে ৩১১.১৫ কোটি টাকা। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। চলতি অর্থবর্ষে ব্যবসা ৩৫০ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে তাঁর আশা। |