ডেঙ্গি নিয়ে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে কাল, সোমবার বৈঠক ডেকেছে জেলা প্রশাসন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসকের তরফে ডাকা ওই বৈঠকে থাকছে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষকেও। তবে পূর্ত, সেচ দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো বিভিন্ন দফতরকে না ডাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তদের উপযুক্ত চিকিত্সা ব্যবস্থা করা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাজে সমন্বয়ের অভাবই স্পষ্ট হয়েছে। তাতে নেতা মন্ত্রী পুর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছেন।
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক পি টি শেরপা বলেন, “আপাতত দুই জেলা স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসন এবং পুরসভাকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। অন্য দফতরগুলিকে নিয়ে পরবর্তীতে বৈঠক করা হবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “জেলাশাসক, মহকুমাশাসকদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য-সহ সমস্ত দফতরগুলিকে নিয়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজেও নামা হবে। মশার উত্পত্তির জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দুই জেল মিলিয়ে তা ৯০০-র কাছাকাছি। অথচ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শিলিগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজও আলাদা ভাবে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যেও কোনও সমন্বয় নেই। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের একটি ঘরে তাদের থেকে কাজ করতে হচ্ছে। অথচ শিলিগুড়ি শহর এবং তার আশেপাশে ডেঙ্গি ঠেকাতে যে কাজ করা হচ্ছে তা এক জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ হওয়া জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “দু’ দিন আগেই স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটিতে শিলিগুড়ির ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিলিগুড়ির জেলা হাসপাতালে এলাইজা পরীক্ষার যন্ত্র দ্রুত আনা হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে মশার লার্ভা মারতে তেল স্প্রে, সচেতনতার কাজ চলছে।” মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তও জানিয়েছেন, পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। |