|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
ইতিহাস থাকুক বর্জনেরও |
বইপোকা |
‘এ ধরনের সংকলনে বার বার ঝাড়াই-বাছাই করতে হয়। দুটো কারণে: প্রথমত, নতুন লেখাকে ঠাঁই দেবার জন্যে পুরনো কিছুকে সরাবার দরকার পড়ে— যাতে বই ভারী হয়ে পাঠকের ট্যাঁকে টান না পড়ে; দ্বিতীয়ত, লেখক যদি দীর্ঘায়ু হয়ে আরো কবিতার জন্ম দেন।’ সেই কবে, ১৯৮৬-র এক ‘বিশ্বকর্মা দিবস’-এ নিজের শ্রেষ্ঠ কবিতার ভূমিকায় লিখিয়াছিলেন মুখুজ্যের পো, মানে সুভাষ মুখোপাধ্যায়। নিজের কবিতা হইতে ‘শ্রেষ্ঠ’ কোনও দিনই বাছিয়া দেন নাই তিনি, লিখিয়াছেন, ‘আমি সে ভার নিলে ঠগ বাছতে হয়তো গাঁ উজাড় হয়ে যেত।’ তবু বন্ধুবর্গ আর প্রকাশকের সৌজন্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা (দে’জ) গ্রহণে-বর্জনে নিত্য নতুন। ১৯৭৩ হইতে ২০০৮— তেরোখানি সংস্করণের মধ্যে নয়টিই তাই ‘পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত’। এমন বহমানতা বঙ্গীয় বইপাড়ার শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশের ধারায় বিরল। তবু একটা প্রশ্ন উঠিতেই পারে। এই যে পরিমার্জন আর পরিবর্ধন তার ইতিহাসটিও যদি রাখা যাইত গ্রন্থেই? বস্তুত রাখাই ত উচিত ছিল, কবির বিবর্তনটি তাহাতে আরও স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। এই প্রত্যাশা আরও বেশি করিয়া উঠে এই কারণে যে এই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতাসংগ্রহ (দে’জ) সুবীর রায়চৌধুরীর ন্যায় সম্পাদকের সম্পাদনা পাইয়াছিল। প্রথম সংস্করণের সহিত পাঠ মিলাইয়া, পাঠান্তর এবং সকল সংস্করণের পরিচিতি-সহ সেই স্মরণীয়রূপে সুসম্পাদিত গ্রন্থ আজিও সুলভ। এই বার শ্রেষ্ঠ কবিতারও একটি সুসম্পাদিত সতথ্য সংস্করণ প্রকাশ হউক। পাঠকের ট্যাঁকের উপর চাপ না বাড়াইয়াও কাজটি সম্পন্ন হইতে পারে। আর এক কথা, একই শ্রেষ্ঠ কবিতা-র দুই কপিতে দুই রঙে পুস্তানি কেন? |
|
|
|
|
|