ডাকঘর

নিষ্প্রভ বেরা উৎসব
বেরা উৎসব মুর্শিদাবাদের সুপ্রাচীন এক নিজস্ব উৎসব। মুর্শিদাবাদ ছাড়া এই উৎসব আর কোথাও হয় না। নবাব মুর্শিদকুলির সময় থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে এই উৎসব। এ বার বেরা উৎসবে বহু দর্শনার্থী মুর্শিদাবাদের (লালবাগ) কেল্লা নিজামত এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিলেন। তাঁদের জন্য না পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা। যে ভাগীরথী নদীকে ঘিরে মূল অনুষ্ঠান, তার দুই পাড় অপরিচ্ছন্ন, অন্ধকার, বিপদসঙ্কুল। নৌকা করে বেরা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের নৌকার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও পিকনিক পার্টির নৌকা গুলোর মাইকের উচ্চস্বর তাল কেটে দেয় উৎসবের। একটা কলার ভেলা (বেরা) জলে ভাসিয়ে ৪০০ মিটার পথ অতিক্রম করতে আমরা ব্যর্থ হলাম। জেটিঘাটের জেটিতে দু’ বছর আগে একই ভাবে বেরাটি আটকে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদবাসীর প্রাণের বেরা উৎসব যা পর্যটন শিল্পের এক উজ্জ্বল পরশমণি হতে পারত, অবহেলার শিকার হয়ে আজ তা বড়ই নিস্প্রভ, নিষ্প্রদীপ।
বেআইনি নির্মাণ
জঙ্গিপুর পুরসভা রাজ্যের প্রাচীনতম পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম। বিগত তিন দশকে এই শহরে জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বসবাস করার প্রয়োজনে নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হয়ে চলেছে। কিন্তু গৃহ নির্মাণের পুরবিধি মেনে চারদিকে ৩ ফুট করে জায়গা ছেড়ে গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে কিনা, সেটা ঠিক মতো তদারকি করার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই নিয়ম মাফিক জায়গা ছেড়ে বাড়ি তৈরি করছেন না। পুর কর্তৃপক্ষের উচিত কঠোর ভাবে গৃহ নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যকর করার আয়োজনে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা। প্রয়োজনে বেআইনি ভাবে নির্মিত বাড়ি, বা বাড়ির অংশ বিশেষ ভেঙে দেওয়ার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যিক।
বেহাল নিকাশি
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বহরমপুর পুরসভার সীমানার কাছেই সুতিরমাঠে থাকি। অঞ্চলের প্রধান সমস্যা জল নিকাশি ব্যবস্থা। আমার বাড়ির কাছে ঢালাই রাস্তা নিকাশি নালার জলে ডুবে থাকে। গত তিন চার মাস অবস্থা চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছে। পচা দুগর্ন্ধ যুক্ত জলের গন্ধে এলাকায় পেটের রোগ ছড়াবে বলে আশঙ্কা। বিডিও এবং স্থানীয় বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নতুন রেশন কার্ড
আমার বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের ইন্দিরাপল্লিতে। রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি জঙ্গিপুর খাদ্য সরবরাহ দফতরে আমাদের পরিবারে মোট ৩ জনের ছেঁড়া রেশন কার্ড জমা দিয়েছি। নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য ওই ছেঁড়া রেশন কার্ড ৩টি জমা দিয়েছি। ৩ নম্বর ফর্মও পূরণ করেছি। দফতরের আধিকারিক আমাকে ৭ মার্চ ডাকেন এবং ক্রমিক নম্বর দেন। সেই ক্রমিক নম্বর ২৫০। গত ১৯ অগস্ট ফের ওই দফতরে গেলে কার্ড নেই বলে ফের আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গত ৭ মাস থেকে আমাদের রেশন কার্ড না থাকায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। সমস্যা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.