স্কুটার বা বাইক দর ৫০ টাকা। আর চার চাকা থেকে ছয় চাকা দর ১০০ টাকা। জোরাজুরি করলে ১০ থেকে ২০ টাকা এদিক-ওদিক হতে পারে। জোরাজুরি বেশি হলে মিলতে পারে ধমক। পরিবহণ দফতরের জেলা দফতরে বসে নম্বর প্লেট লাগাতে এক শ্রেণির কর্মী এই ভাবে টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ একাধিক বার করা হয়েছে বিভাগীয় জেলা আধিকারিকের কাছে।
নম্বর প্লেট লাগানোর ঘর থেকে আধিকারিকের দফতর ৫০ মিটারের কম দূরত্বে হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোচবিহার জেলা পরিবহণ আধিকারিক তাপস বিশ্বাস বলেন, “এখনও কেউ লিখিত কেউ অভিযোগ করেননি। কয়েক জন মৌখিক ভাবে বিষয়টি বলেন। সেই সময় নোটিস ঝুলিয়ে রসিদ ছাড়া টাকা না দেওয়ার জন্য গাড়ির মালিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি জানান, ওই কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে করানো হয়। একটি সংস্থা ওই কাজ করছে। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবুও বিষয়টি দেখছি।”
কোচবিহার সদর মহকুমা বটেই দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা ও মেখলিগঞ্জ মহকুমার মানুষ কোচবিহার পরিবহণ দফতরের উপর নির্ভরশীল। নম্বর প্লেট, মালিকানা বদল, নতুন পারমিট, লাইন্সেস-সহ এ সব কাজে বাসিন্দাদের সাগরদিঘির পাশে জেলা পরিবহণ দফতরে আসতে হয়। গাড়ির মালিকদের বক্তব্য, নম্বর প্লেট গাড়িতে লাগানোর পরে কমীরা একটি কাগজ গাড়ির মালিককে দেন। যা পরবর্তীতে কাজে লাগে। সেই সময় টাকা চাওয়া হয়। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত কাগজ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। এভাবে প্রতি দিন ৮-৯ হাজার টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। কম করে রোজ ১০০ গাড়ির কাজ করা হয়। অভিযোগ, ওই কর্মীদের মদত দেন পরিবহণ দফতরের একাংশ। টাকা দিতে অস্বীকার করে পরবর্তী কালে কাজে সমস্যা হবে বলে নানা ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী কাগজ আটকে রাখার অভিযোগ আছে।
ওই কর্মীদের অবশ্য দাবি, তাঁরা চা, জলখাবার জন্য টাকা নেন। নতুন গাড়ির জন্য অনেকে স্বেচ্ছায় খুশি হয়ে ওই টাকা দিয়ে যায়।” জেলা পরিবহণ আধিকারিক বলেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সরকারের থেকে টাকা নেয়। সংস্থাটি ওই কর্মীদের বেতন দেয়। আলাদা টাকা তোলা বেআইনি। বিষয়টি দেখব।” |