পুরসভায় নতুন করে নির্বাচন করানোর দাবিতে সরব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। পুর প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতে এ দাবি করেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি পুরসভার মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৪৭ জন। ১৪ জন কাউন্সিলর নিয়ে কংগ্রেস বোর্ড চালাচ্ছে। বোর্ড চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তা হলে কেন পদ আঁকড়ে থাকবেন তাঁরা? আমরা চাই অবিলম্বে তাঁরা বোর্ড থেকে ইস্তফা দিন। নতুন করে নির্বাচন করাক রাজ্য সরকার।”
তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতার অভিযোগ, “গোড়া থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভা কংগ্রেস ও বামেরা যে হাত মিলিয়েছে তা ফের গত সোমবারের মাসিক অধিবেশনে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বামেরা তিনটি বাদে সব প্রস্তাবে কংগ্রেস বোর্ডকে সমর্থন করেছে।” গত পুরভোটে কংগ্রেসের তরফে বাম বিরোধিতার কথা জানিয়ে শহরবাসীর কাছে ভোট চাওয়ার পরে কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কেন করছে সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা। কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ইস্বস্তিতে বামেরা। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের যুক্তি, “আমরা চাই না, শহরের মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকুক। তাই পুরসভা যেন সমস্ত কাজ করতে পারে, তা আমরা দেখছি।” তাঁর কটাক্ষ, “পঞ্চায়েতে ভোটের পর জোট করে বোর্ড তৈরি করছে তৃণমূল, মাদারিহাটে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গেও একই বোর্ডে রয়েছে তৃণমূল। এতে বোঝা যাচ্ছে, কারা কার সঙ্গে রয়েছে।” দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল)-এর সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেছেন, “তৃণমূল যখন আমাদের সঙ্গে জোট করেছিল তখন বাম ঘেঁষা বলে ভাবেনি। তবে আমরা পুর পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ। সেই জন্য যা যা যা করণীয় করছি।” |