বিচারপতির অস্বস্তিকর মন্তব্য |
রাস্তা আটকে পুজো করাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলায় রাজ্যের ‘কিছু মন্ত্রী’ সম্পর্কে ‘গুন্ডাদের মত আচরণ’ করার অভিযোগ করলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য কলকাতায় যৌন কর্মীদের নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুজো করার আবেদন করে একটি চিঠি জমা দিয়েছিলেন বটতলা থানায়। সেই আবেদন নাকচ করার পর সংস্থাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সংস্থার অভিযোগ, ওই একই জায়গায় গণেশ পুজো করার জন্য এর কিছু দিন আগেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতির এই মন্তব্য অস্বস্তি বাড়াবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তিনি আরও বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে বহু পুজো হয়। যে পুজোর সঙ্গে যত বড় নাম জড়িয়ে থাকে, রাস্তাও আটকানো থাকে তত বেশি দিন ধরে। অথচ সাধারণ মানুষ পুজো করার অনুমতি চাইলে তা পান না। রাস্তা আটকে পুজো করার নিয়মাবলী চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
|
‘চারিদিকে শুধু জল আর জল’। না, এ কোনও সমুদ্রযাত্রার কথা নয়। আজ যে বিশ্বকর্মা পুজো। সকাল থেকে ধূসর আকাশ ও অবিরাম বর্ষণে এ কথাই মনে আসছে। বিশ্বকর্মার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঘুড়ি, লাটাই, মাঞ্জা সুতোর দেখা মিলল না সকাল থেকে কোথাও। কলকাতা ময়দান হোক বা পাড়ার মাঠ, বাড়ির ছাদ হোক বা ফুটপাত আট থেকে আশির ‘ভোকাট্টা’ শোরগোলে বড়সড় বাধ সেধেছে বৃষ্টি। আকাশের মতোই মুখ ভার ঘুড়ি-সুতোর পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের। ‘পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা’ আকাশে ওড়ার আগেই ধরাশায়ী। তবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোটবড় বিভিন্ন মণ্ডপে বিশ্বকর্মা-মূর্তি আর লাউড স্পিকারে সন্ধ্যা-মান্নার গান থেকে হাল আমলের ‘ঝিঙ্কু নাকুর’ মনে করিয়ে দিচ্ছে ঘুড়ি উড়ুক না উড়ুক, আজ বিশ্বকর্মা পুজো। ঘুড়ি ওড়ার সম্ভাবনাকে ‘ভোকাট্টা’ করে আকাশ আজ ‘ভিলেন’। সকলেই এক টুকরো রোদ্দুরের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
|
গত ১৪ সেপ্টেম্বরে ওড়িশার মালকানগিরিতে পুলিশি অভিযানে ১৩ মাওবাদী নিহত হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই বিহারে মাও-হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রসাশন। গত কাল রাত ৯টা নাগাদ বিহারে গয়া-চাতরা রোডে টহলরত পুলিশ ভ্যানে হামলা চালাল মাওবাদীরা। ঘটনায় ২ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দু’ জনেই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্য ছিলেন। আহত হয়েছেন তিন জন। তাঁদের মগধ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
|
নোবেল চুরির পর ফের একবার চোরের ‘সুনজরে’ পড়ল বিশ্বভারতী। গত কাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সে লাগানো দু’টি চন্দন গাছ কেটে নেওয়া হল। গাছ দুটির আনুমানিক মূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। আজ সকালে ঘটনাটি সুরক্ষাকর্মীদের নজরে আসে। এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর লোহার গেট, কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। বর্তমানে গাড়ি চলাচলও বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে নোবেলের পর চন্দন গাছ চুরির ঘটনা আদপে বিশ্বভারতীর সুরক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারাই প্রকট করল। ঘটনার জেরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৪ জন সুরক্ষাকর্মীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে।
|
দুর্গাপুরে ৬টি বাড়িতে ডাকাতি |
দুর্গাপুরে বড়জোড়া ব্লকের মেটালি গ্রামে পর পর ৬টি বাড়িতে ডাকাতি করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল গভীর রাতে ওই ৬টি বাড়িতে জানালা থেকে ঘুমপাড়ানি গ্যাস স্প্রে করে বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা, গয়না, মোবাইল, প্রায় সব কিছুই নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে এই অভিনব চুরির কায়দা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশের।
|