টুকরো খবর |
অব্যবস্থার শ্মশান, সমস্যায় বাসিন্দারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের সবেধন নীলমনি বেলডাঙার মহুলা শ্মশান। মহুলা-১, মহুলা-২, চৈতন্যপুর-১, চৈতন্যপুর-২, ভাবতা-১ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা ওই শ্মশানের বেহাল দশায় সমস্যায় পড়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্মশানে যাওয়ার এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। বর্ষাকালে জলমগ্ন সেই রাস্তায় চলার উপায় থাকে না। শ্মশানে নেই বিদ্যুৎ। ভাগীরথীর তীরে ওই শ্মশানের শবযাত্রীদের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়। কিন্তু এখন সেখানে পাটকাঠির স্তূপ। দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠও আনতে হয় অনেক দূর থেকে।
|
 |
শ্মশানে যাওয়ার বেহাল রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র। |
নতুন জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্মশানের পরিকাঠামো ও বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে আর ভরসা রাখতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। মহুলা অঞ্চলের বাসিন্দা রূপক মণ্ডল বলেন, “রাতে শ্মশানে দাহ করা খুব কষ্টের। হ্যাজাক আর টর্চের আলো জ্বালিয়ে কী ওই সব কাজ হয়?” সত্যবতী বিশ্বাস বলেন, “মেয়েদের জন্য প্রতীক্ষালয়ের ব্যবস্থা নেই। কোনও অসুবিধা হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব বুঝতে পারি না।” তৃণমূলের মহুলা-১ অঞ্চল সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ওই শ্মশানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু শ্মশানে আলো নেই। প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায় না। তাই ওই শ্মশান ব্যবহার কমেছে।” মহুলা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের মামণি মণ্ডল বলেন, “শ্মশানের বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখব।”
|
বোর্ড টেকাতে বামফ্রন্টকে সমর্থন তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড টেকাতে রঘুনাথগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে বামফ্রন্টকে সমর্থন দিল তৃণমূল। শাসকদলের সমর্থনে শনিবার ওই পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি স্থায়ী সমিতিই দখল করল সিপিএম। তৃণমূল নেতারা অবশ্য এই আঁতাতে কোনও অন্যায় দেখছেন না। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ফুরকান শেখ বলেন, “ জোতকমল পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু বোর্ড চালাতে সিপিএমের সমর্থন চায়। তাই নিছক বাধ্যবাধকতার জন্য ব্লক স্তরের নেতারা ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠনে সিপিএমকে সমর্থন দিয়েছে।” রঘুনাথগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত সমিতির ২৯টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট ১৫টি আসন পেয়ে বোর্ড গড়ে। স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছাড়া এলাকার সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান পদাধিকারবলে ভোট দানের অধিকারী। ওই হিসেবে সাধারণ সদস্যের সংখ্যা ৪৪। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস উভয়েরই রয়েছে ২১ জন সদস্য। তৃণমূলের দু’জন। তৃণমূলের সমর্থনে বামেরা সমস্ত কর্মাধ্যক্ষের পদই দখল করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস এ দিন জোতকমল পঞ্চায়েত এলাকায় পথসভা করে। স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামান বলেন, “তৃণমূল দু’বেলা সিপিএমকে গালমন্দ করে। আবার স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে সিপিএমের পাশে দাঁড়াল শাসকদল। এই দ্বিচারিতার প্রতিবাদে আমরা ধিক্কার সভা করছি।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় অবশ্য বলেন, “তৃণমূল সদস্যরা কেন আমাদের ভোট দিয়েছে, তা তাঁরাই জানেন। আমাদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের।”
|
পাচার রুখতে গিয়ে জখম পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষা বাহিনী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
গরু পাচার রুখতে গিয়ে পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শনিবার ওই দুটি পৃথক ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মী ও তিন জন বিএসএফ জওয়ান আহত হন। পাচারকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন কৃষ্ণনগর ঝিটকাপোতার ‘পাওয়ার হাউস’ লাগোয়া মাঠে গরু জড়ো করার পরে গাড়ি বোঝাই করে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস কয়েক জন পুলিশ কর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের উপরে পাচারকারী ও তাদের সহযোগীরা হামলা চালায়। দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “১৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪৩টি গরু। তবে ওই ঘটনায় পাচারকারীদের ইঁটের আঘাতে দুজন পুলিশ কর্মী জখম হন।” অন্য একটি ঘটনায় চাপড়ার হাটখোলা মহখোলা সীমান্তে গরু পাচারের সময়ে বাধা দেয় বিএসএফ। তখন পাচারকারী ও বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী মিলে চড়াও হয় বিএসএফ জওয়ানদের উপরে। দওয়ানদের লক্ষ করে শুরু হয় ইঁট বৃষ্টি। বিএসএফের দাবি, তখনই আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলি ছোড়া হয়। ফাটানো হয় শব্দ গ্রেনেড। খবর পেয়ে চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই রাতেই অবশ্য পাচার হওয়ার সময়ে ১৪টি গরু আটক করে বিএসএফ।
|
দশ দিন ধরে আঁধার খাঁড়েরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
ট্রান্সফর্মার বিকল পড়ে থাকায় গত দশ দিন ধরে অন্ধকারে ডুবে সালারের খাঁড়েরা গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসের গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সমস্যায় পড়েছে এলাকার পড়ুয়ারাও। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকায় পড়তে অসুবিধার কথা জানায় খুদে পড়ুয়ারা। সালার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরএসপির মহম্মদ আজিজুল হক বলেন, “এই ঘটনার কথা জানান নেই। দ্রুত ব্যবস্থার চেষ্টা করব।” বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কান্দির বিভাগীয় অধিকর্তা হরনাথ হোড় বলেন, “কয়েক মাস আগে ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছিল। নতুন ট্রান্সফর্মার লাগানো হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর নতুন ট্রান্সফর্মার লাগোনো হবে।” সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, হুকিংয়ের জন্যই ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাচ্ছে। কবে বিদ্যুতের মুখ দেখবে খাঁড়েরা, অপেক্ষায় গ্রামবাসী।
|
ক্রেতা সেজে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
ক্রেতা সেজে এক বুটিকের দোকানে ঢুকে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার শাড়ি হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিল চার মহিলা সহ পাঁচ জন। রবিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ের লালবাড়ি মার্কেটের কাছের ঘটনা। ওই ঘটনার পর স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। দোকানের মালিক তৃষিত মৈত্র বলেন, “ওই পাঁচ জন অবাঙালি ক্রেতা সেজে দোকানে এসে শাড়ি দেখছিলেন। অনেক শাড়ি দেখানো হলেও কোনওটাই তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। দোকান থেকে ওরা বেরিয়ে যাওয়ার পর আমাদের নজরে আসে যে বহু শাড়িই খোয়া গিয়েছে। দ্রুত বাইরে বেরিয়ে এসেও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। গতবার দুর্গাপুজোর পুজোর ঠিক আগেই আমার পাশের একটি দোকানেও এই একই কাণ্ড ঘটেছিল।” দিনে দুপুরে ওই চুরির ঘটনার আশপাশের দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
দল বদলে তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালীগঞ্জ |
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কালীগঞ্জের মীরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুদ শেখ। শনিবার বিকেলে দল বদল করেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের নাসিরুদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, “মনসুদ শেখ-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আশা করছি এই সংখ্যা আরও বাড়বে।” দল বদল প্রসঙ্গে মনসুদ বলেন, “এলাকার মানুষের জন্য উন্নয়ন করতে গেলে শাসকদলের সাহায্য ছাড়া চলবে না। তাই আমার এই সিদ্ধান্ত।” কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার বেলডাঙার মহুলার এই ঘটনায় মৃতের নাম সাবিত্রী হাজরা (৫০)। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বাড়িতে একাই থাকতেন। শনিবার প্রতিবেশীরা দেখেন বাড়ির পিছনে ওই মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দিন দু’য়েক আগেই ওই মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
|
ছাত্রীর দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বাড়ির পাশের বাবলা গাছ থেকে রবিবার এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নাম রেশমি খাতুন (১৪)। বাড়ি সাগরদিঘির হোসেনপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পড়াশুনা নিয়ে মা-র বকা খেয়ে সাহাপুর সাঁওতাল হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।
|
পুলিশকে কামড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
দাম্পত্য কলহ মেটাতে গিয়ে মহিলা চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে কৃষ্ণনগর মহিলা থানার পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, ওই মহিলা চিকিৎসকই পুলিশকে কামড়ে দিয়েছেন। বাধা দিয়েছেন সরকারি কাজে। উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। |
|