এত খুনের হুমকি যে ভাবছি একটা বন্দুক রাখব
ফ্লোরিডাতে ফোন ধরেই বললেন তাঁর তাড়া আছে। কোর্টের হিয়ারিংয়ে যেতে হবে। প্রশ্নগুলো যেন ই-মেল করে দেওয়া হয়। উত্তর এল বারো ঘণ্টা পরে। তাতে প্রথমেই লেখা, সলমন খানকে নিয়ে কোনও উত্তর দেবেন না। উত্তর পেয়ে ফোন করাতে সেই পণ ভাঙলেন তিনি। তেইশ বছর বয়সে সলমনের সঙ্গে ব্রেক-আপ। এখন ফ্লোরিডায় ‘নো মোর টিয়ার্স’ বলে এক এনজিও আছে তাঁর। মুখতারণ মাঈ, পাকিস্তানি যে মহিলার ধর্ষণকাণ্ড তুমুল আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল সারা বিশ্বে, তাঁর উপর ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন তিনি। ডকুমেন্টারিটির নাম ‘আই ক্যান সারভাইভ’। আগামী নভেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর বানানো আর একটি শর্ট ফিল্ম।

• কী মনে হয়? নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির আদেশটা না হলেই ভাল হত? আপনি তো তিক্ততা নিয়ে বাঁচেন না। ক্ষমা করার পক্ষপাতী।
যদি ফাঁসির আদেশ না দেওয়া হত, তা হলে বেশ হতাশ হতাম। আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা কমে আসত।

• এই ধর্ষণকারীদের ফাঁসি দিলেই কি ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে?
প্রচণ্ড রাগ হয়েছিল নির্ভয়ার ঘটনাটা শুনে। শুধু মাত্র ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে নয়, ল অ্যান্ড অর্ডার-এর উপরও। বারবার বলেছি, সাঙ্ঘাতিক কোনও সাজা না হলে এই ধরনের কোনও অপরাধ আটকানো যাবে না। দুর্নীতি আর ঘুষ দেওয়া-নেওয়া যত দিন রাজত্ব করবে, তত দিন অবিচার থাকবেই। ধর্ষণকারীর ফাঁসিই একমাত্র সাজা হওয়া উচিত।

• মোমবাতি মিছিলই অনেকাংশে দায়ী নির্ভয়ার কেসে সুবিচার নিয়ে আসার ক্ষেত্রে। এই রকম সাজা কি পাকিস্তানের ধর্ষণকারীদের শাস্তি পেতে সাহায্য করবে?
সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যই ভারতে জনসচেতনতা এতটা বেড়েছে। সবার হাতেই তো ক্যামেরা ফোন। সব রেকর্ড হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতি অনেক সময় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তান ইজ গেটিং প্রগ্রেসিভলি ব্যাকওয়ার্ড। তার ওপর ওখানে তালিবানের প্রতাপ। অশিক্ষিত, বুড়ো, যাদের এথিকসই নেই, তারা ধর্ষণের বিচার করে পঞ্চায়েতে বসে!

• নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে এত কাজ করেন, যাতে রিস্ক প্রচুর। কখনও কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, বলিউড ছাড়ার পরেও কেন এমন একটা জীবন বেছে নিলেন যার প্রতি পদে ঝুঁকি?

সলমনের সঙ্গে ব্রেক আপের পর সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম আমি। মাত্র পনেরো বছরে মুম্বই এসেছিলাম। আমেরিকায় হাই স্কুলটা পর্যন্ত শেষ করিনি তখনও। এক অভিনেতার উপর ক্রাশ হয়েছিল। আর সেই অভিনেতাই যখন আমার বয়ফ্রেন্ড হল, গোটা ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই ফ্যান্টাসি ভেঙে যেতেই পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছিলাম। করাচিতে মাত্র তিন দিন থাকার পর ফ্লোরিডা চলে যাই। ফ্লোরিডায় ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জীবনটা কাটাতে পারতাম। সময় সব ঠিক করে দেয়। ঠিকই বলেছেন, নির্যাতিত মহিলাদের হয়ে কথা বলার ঝুঁকিটা জানতাম। তবে আমার মনে হয়েছিল, শুধু মাত্র নিজের জন্য না ভেবে বড় কোনও লক্ষ্যের কথা ভাবাটা দরকার। নিজের ঘা-গুলো শুকানোর টোটকাও ছিল এটাই।

• কোনও দিন তো শুনিনি, নিজেকে নিয়ে কাঁদুনি গাইছেন...
নিজের জন্য কাঁদুনি পার্টি করলে সেখানে আমি ছাড়া আর কেউই থাকত না। জীবনে এগিয়ে চলতে হয়। বিশ্বাস করুন, একটা মানুষকে বাঁচানোর বা একজন নিপীড়িতার কথা বলার মধ্যে যেমন শান্তি রয়েছে, তেমনই রয়েছে মহৌষধির গুণ। ইট ওয়াজ থেরাপিউটিক।

• অতীতের তিক্ততাকে ভুলতে শিখলেন কী করে?
ফ্লোরিডায় এসে বুঝেছিলাম মুম্বইয়ে আমার জীবনটা ছিল একটা বাবলের মতো। প্রথমে সলমনকে সম্ভ্রম করতাম। আমেরিকাতে হাজার হাজার মেয়েরই তো বলিউড তারকাদের উপর ক্রাশ থাকে। তারা বড়জোর কী করতে পারে? সেই তারকার পাশে দাঁড়িয়ে একটা ছবি বা একটা অটোগ্রাফ। কিন্তু আমার কথা ভাবুন। সোজা চলে এলাম ভারতে। ফোটোশু্যট করলাম। অ্যাড এজেন্সিকে ছবি দিলাম। ভাগ্যটা ভাবুন। সেই ছবি গিয়ে পড়ল সলমনের হাতে। তার পরেই সলমনের ফোন। ছবি করতে চান আমার সঙ্গে। ইট ওয়াজ সো বিজ্যার!

• মিডিয়াতে বলা হয়, আপনাদের ব্রেক আপের কারণ ছিল ঐশ্বর্যা। কিন্তু আপনি আজ অবধি কাউকে দায়ী করেননি...
ইটস ওভার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে ফিরে তাকালে দেখতে পাই কত সুন্দরী মহিলা ওর জন্য নিজেদের উজাড় করে দিতে চাইত। আমি ওর জায়গায় হলে ওর মতোই ব্যবহার করতাম। অতীতকে টেনে কেচ্ছা করে কী লাভ? তখন আমার লক্ষ্য ছিল মুম্বই এসে সলমনের সঙ্গে দেখা করা। দেখা তো হলই, তার সঙ্গে আবার রিলেশনশিপও। কিন্তু ওর প্রতি সম্ভ্রমটা কেটে যাওয়ার পরে সমীকরণগুলো পালটে গেল। মুম্বইতে বসে স্বপ্ন দেখেছিলাম সংসার করার। হঠাৎ আশার সেই বেলুন ফুস করে ফেটে গেল। সাঙ্ঘাতিক হতাশার মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। ফ্লোরিডাতে ফিরে গিয়ে প্রথম থেকে শুরু করতে হয়েছিল আমাকে। আমেরিকা ছাড়ার সময় তো হাইস্কুলটাও পাশ করে যাইনি।

• বলিউডের অ্যাকশন ক্যামেরার সামনে। আর এখন আপনার অ্যাকশন কোর্টরুমের হিয়ারিং। এ ভাবে গিয়ার পালটালেন কী করে?
জানেন, মা বলেন যখন সাত বছর বয়সে করাচিতে থাকতাম, তখন ওখানে অনেক আফগান রিফিউজি বাচ্চা ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করত। আমি তাদের নিজের গাড়ি করে বাড়ি নিয়ে আসতাম। মাকে বলতাম ওদের বাড়িতেই রেখো। সোশ্যাল ওয়ার্ক করার ইচ্ছেটা ছোটবেলা থেকেই আমার মজ্জায় মজ্জায় ছিল।

• তাই কি আজ সাঁইত্রিশ বছর বয়সে এসে চেষ্টা করছেন হায়দরাবাদ থেকে এক দুঃখিনী মেয়েকে নিয়ে এসে ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে রাখতে?
হ্যা।ঁ মেয়েটির নাম সারা শরিফ। ও অনাথ। সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল হায়দরাবাদে। স্বামী তার পর ডালাসে নিয়ে আসে ওকে। সেখানে নানা রকম নির্যাতন করা হয়। ইতিমধ্যে ওর একটা ছেলেও হয়। একদিন ওর স্বামী বলে ভারতে ছুটি কাটাতে যাবে। আপনাদের দেশে গিয়ে ওকে ডিভোর্স করে আর ছেলেটাকে নিয়ে আমেরিকায় চলে আসে। সারা দু’বছর নিজের ছেলেকে দেখেনি। ও যাতে আমেরিকায় এসে ছেলেকে দেখতে পারে, তাই আমি ওর জন্য হিউম্যানিটারিয়ান ভিসার ব্যবস্থা করছি। ও আমার বাড়িতেই থাকবে।
• এত কেস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। কোনটা সবচেয়ে পৈশাচিক?
অত্যাচারের কোনও ব্যারোমিটার হয় না। এখন আমি মরক্কো থেকে পাচার হওয়া এক মেয়েকে নিয়ে কাজ করছি। তিন বছর আমেরিকাতে ‘সেক্স স্লেভ’ হিসেবে তাকে আটকে রাখা হয়। ওর পেটের মধ্যে চার মাসের একটা মরা ভ্রূণ রেখে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। কী সাঙ্ঘাতিক সহ্যশক্তি ওর!

• এই তো বললেন আবার কোর্টে যাবেন ট্রায়াল শুনতে। কেমন লাগে তখন?
প্রায়ই মনে হয়েছে যদিও আমেরিকাতে এই ধরনের অপরাধীদের অনেক কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়, তবুও সিস্টেমে কিছু খামতি রয়ে গিয়েছে। নিপীড়িত মহিলাকে দোষারোপ করার একটা চেষ্টা থেকেই যায়।

• মানে আপনি বলছেন ওই লজিক যে, মেয়েদের পোশাক-আইটেম নম্বরের জন্যই নাকি ধর্ষণ হয়?
আইটেম নম্বর তো সেই ষাট-সত্তরের দশক থেকেই রয়েছে ছবি বিক্রি করার জন্য। আমি তো এই আমেরিকায় বসেও শুনি যে, অমুক মেয়ের এ রকম ঘটেছে কারণ সে নাকি মিনি স্কার্ট পরেছিল। সমস্যাটা হল মহিলাদের এখনও কমোডিটি হিসেবে দেখা হয়। আর এই দৃষ্টিভঙ্গিটা খুব তাড়াতাড়ি পালটাবেও না।

• কখনও হুমকি পেয়েছেন?
পাইনি আবার? আমি তো জানি পাকিস্তানে গেলে আমাকে গুলি করে খতম করে দেওয়া হবে। ধর্ষিতা মহিলাদের কথা বলেছি বলে। আমেরিকাে তও তো আমার গাড়ির টায়ার কেটে রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর ই-মেল কি ফোনে তো হুমকি দেওয়ার শেষ নেই। পাকিস্তানের প্রচুর পুরুষই ভয় দেখিয়ে বলেন আমার নাকি এখন বিয়ে করে বাচ্চা মানুষ করার বয়স। প্রথম প্রথম ভয় লাগত। আমি তো মেয়েদের ভালই করতে চাইছি। তা হলে এ রকম বিড়ম্বনা কেন! কয়েক মাস আগে বন্দুক চালানোর ট্রেনিং নিয়েছি। ভাবছি নিজের সুরক্ষার জন্য একটা বন্দুক রাখব সঙ্গে।

• এই কাজ করতে গিয়ে কি কখনও পুরুষদের প্রতি আস্থা কমেছে?
এত খারাপ ঘটনা চোখের সামনে দেখে আস্থা রাখাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে শান্তি পাই যখন আমারই উদ্ধার করা কোনও ভিক্টিমকে দেখি সুস্থ জীবন যাপন করতে। নির্যাতিত বাচ্চা বা মহিলাকে উদ্ধার করার আনন্দটা ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়।

• ধর্ষিতাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে সবচেয়ে বড় বাধাটা কী?
অনেক মেয়েরা তো ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানায় না। মুম্বইতে আমার এক কাজের মহিলা ছিল যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। শুনে আমি ওকে বলেছিলাম, “রিপোর্ট করোনি কেন?” ও শুনে বলেছিল, “রিপোর্ট কাকে করব? পুলিশকে জানালে তো ওরাও আমাকে ছাড়বে না।” ধর্ষিতা মহিলাদের ভিতর এই অনুভূতিটা খুব কাজ করে। এক ধরনের ট্রমা। আমার ‘নো মোর টিয়ার্স’ অনেক মহিলারই থেরাপি সেশন চালায়। তবে সবচেয়ে অসুবিধে হয় ওদের নামের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া গ্লানির তকমাটাকে সরাতে গিয়ে। তা ছাড়া একটা ভয়ও কাজ করে। হিলিং অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

• ধর্ষিতাদের পরবর্তী যৌন জীবনে কী প্রভাব পড়ে?
যৌন জীবনটায় ফিরে যাওয়ার কথা তারা ভাবতেই পারে না। কাউকে ভরসাই করতে পারে না। বেঁচে থাকাটাই তখন একটা কষ্টকর সংগ্রাম হয়ে দাঁড়ায়। সম্পর্ক ইত্যাদি তখন অনেক দূরের ভাবনা।

• মুখতারণ মাঈ-কে নিয়ে কলকাতার নাট্যজগতে অনেক কাজ হয়েছে। আপনার সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ আছে?
তিন বছর আগে শেষ কথা বলেছিলাম। শুনেছি ও বিয়ে করেছে।

• ইন্টারনেটে রয়েছে যে উনি এক পুলিশ কনস্টেবলের দ্বিতীয় স্ত্রী। এক ছেলেও আছে। ওঁর বিয়ের সিদ্ধান্তটা অনেকেরই ঠিক লাগেনি। আপনার কী মত?
আমি জানতাম না। তবে ওকে হট্ করে খারাপ বলতে চাই না। যদি ও এখনও মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে কাজটা চালিয়ে যেতে পারে, তা হলে ওকে কুর্নিশ জানানো দরকার। আর তা যদি নাও করে, তা হলেও পুরনো কাজের জন্য ও আজও একজন আইকন।

• এটা কি একটা মিথ যে ধনী আর শিক্ষিত মহিলাদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় না?
একদমই তাই। আমার সংস্থা অনেক উকিল, ডাক্তার, প্রফেসরকে উদ্ধার করেছে। প্রাচুর্য আর শিক্ষার সঙ্গে নির্যাতনের কোনও সম্বন্ধ নেই।

• আপনি তো একটি মেয়ে অ্যাডপ্ট করতে চান। এখনও এত সুন্দরী, এত মানুষের সঙ্গে দেখা হয় আপনার পাত্র হিসেবে কাউকে পছন্দ হয়নি?
নিজেকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি, এমন পাত্র কি পেয়েছি যাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না? উত্তর হল ‘না’। ঠিক সময় দত্তক নেব। মাতৃত্বের থেকেও বেশি আমার তাগিদটা হল একটা প্রাণকে বাঁচানো। মাতৃত্বকে ছোট না করেই এটা বলছি। এই কিছু দিন আগে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মেয়েকে উদ্ধার করেছি। শি ইজ প্রেগন্যান্ট উইথ আ বেবি গার্ল। মেয়েটি বলেছে বাচ্চার নাম রাখবে সোমি। এর থেকে বড় কমপ্লিমেন্ট আর কী হতে পারে! আমি ওই বাচ্চাটির দেখাশোনা করতে চাই।

• কখনও কাজের ফাঁকে ফেলে আসা বলিউডে করা নিজের ছবি দেখেন?
নিজের পুরনো ফোটোগ্রাফ দেখি। কারণ? তা হলে বুঝতে পারি মোটা হয়েছি কি না। (হেসে) ওটাই আমার একমাত্র বিলাসিতা। হ্যাঁ, হিন্দি সিনেমা ভালবাসি। এই তো সে দিন আবার ‘অর্থ’ দেখলাম। প্রথম দেখেছিলাম ষোলো-সতেরো বছর বয়সে। কিচ্ছু বুঝিনি। আজ ছবিটা অন্য চোখে দেখি। সিনেমার শেষ দৃশ্যের সঙ্গে নিজের জীবনেরও অনেক মিল খুঁজে পাই।

• মানে? ছবিটির পটভূমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। একজন অভিনেত্রী চলে আসেন এক দম্পতির সম্পর্কের মধ্যে...
আজ ছবিটা দেখে প্রত্যেকটা চরিত্রের প্রতি সহানুভূতি হয়। সবার নিজের নিজের দুঃখ-কষ্ট। প্রত্যেকের নিজস্ব যুক্তি ছিল। কোনও চরিত্রকেই দোষারোপ করি না। আপনার মনে আছে, ছবির সেই শেষ দৃশ্য যেখানে শাবানা বিয়ে করতে অস্বীকার করেন? ঠিক করেন স্বাবলম্বী হয়ে বাঁচবেন। নিজের কাজের লোকের মেয়েকে মানুষ করবেন ঠিক করেন। আমি নিজেও আর ফিরে তাকাই না। কাজের মধ্যে শান্তি পাই, আনন্দও। সেখানেই আমার জীবনের অর্থ খুঁজে পাই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.