সংস্কৃতি যেখানে যেমন
|
কবিতার কোলাজ |
কথকতার উদ্যোগে গত ৯ অগস্ট শিলিগুড়ির দীনবন্ধ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আবৃত্তি সন্ধ্যা, ‘শুধু কবিতার জন্য’। আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র কথাকতার শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে ‘ভাল্লাগে না’, ‘শুধু আমার পড়া পড়া’, ‘সেই বাতিওয়ালা’-র মতো কবিতার কোলজ দর্শকদের প্রশংসা কুড়োয়। শিলিগুড়ি শহরের কবিরাও নিজেদের কবিতা পড়ে শোনান দর্শক-শ্রোতাদের। আয়োজক সংস্থার কর্ণধার অমিতাভ ঘোষের কবিতার নৃত্যায়ন বাড়তি মাত্রা সংযোজন করে অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি, আধুনিক কবিতা আবৃত্তির ধারা কী ভিন্নধর্মী এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন সৌমেন বসু। অনুষ্ঠানে ‘উবাচের’ শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘কবিতার কথা বলছি’। সঞ্চালনায় সুমিত দত্ত এবং সংযুক্তা চক্রবর্তী। |
‘তিস্তানন্দিনী’র শ্রদ্ধা |
রবীন্দ্রনাথের জন্য ‘যে ছিল আমার স্বপনচারিনী’, নজরুলের ‘হে মহাপ্রাণ’। দুই গীতি আলেখ্যের মাধ্যমে দুই কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ‘তিস্তা নন্দিনী’। জলপাইগুড়ি থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকার শাখা প্রশাখা উত্তরবঙ্গ থেকে সুদুর বাংলাদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। গত ২৬ মে জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়েই বসে পত্রিকার কবি প্রণামের আসর। তিস্তা নদীর পাড়ে পঞ্চবটিতে বসে পত্রিকার সদস্য থেকে পাঠক-পাঠিকা সকলে মিলে গল্প, কবিতা পড়েছেন। রবীন্দ্রনাথের রচনায় নারীদের আসা-যাওয়া নিয়ে গীতি আলেখ্য রচনা করেছিলেন দেবযানী সেনগুপ্ত, নজরুলের জীবন নিয়ে রচনাটি লিখেছিলেন কোয়েলা গঙ্গোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পত্রিকার সম্পাদিকা তনুশ্রী পাল। |
৩ দিনের নাট্যোৎসব |
রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপনে কলকাতার অনীক নাট্যগোষ্ঠী গঙ্গা যমুনা নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছিল কোচবিহারে। উৎসবের আয়োজনে অনীককে সাহায্য করেছে কোচবিহারের দুটি নাট্যদল, অগ্নি নাট্য সংস্থা ও ইন্সটিটিউট অব পারফরমিং আর্টস (আইপিএ)। উৎসবে অনীকের দুটি নাটক ছাড়াও আইপিএর ‘বাইপ্রোডাক্ট’ এবং অগ্নি নাট্যদলের ‘অমানিশা’ প্রর্দশিত হয়। অনীকের ‘অ্যাডভেঞ্চার কারে কয়’ দর্শকদের রোমাঞ্চিত করেছে, সেই সঙ্গে উপরি পাওনা ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘তপতী’। তিন দিনের উৎসবের শেষ রজনী ছিল ওপার বাংলার। সুবচনের ‘মহাজনের নাও’ প্রশংসা কুড়িয়েছে। |
নৃত্য প্রতিভার খোঁজ |
প্রতিভাসম্পন্ন দুঃস্থ নৃত্যশিল্পীদের সাহায্যে ১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির মিত্র সম্মেলনী হলে অনুষ্ঠিত হল ‘সিতারে জমিন পর’। উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠান হয় মিত্র সম্মেলনী হলে। শিলিগুড়ির ‘উই ফিল’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই ছিল প্রতিভাবন শিল্পীদের সাহায্য করা। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দুঃস্থদের ফি দিতে হয়নি, অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই দুঃস্থদের সাহায্য করা হয় বলে উই ফিল জানিয়েছে। |
গণেশ পাইন স্মরণে |
প্রয়াত চিত্রশিল্পী গণেশ পাইনের স্মরণে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়ায় ‘অমৃতার’ কার্যালয়ে ১০ অগস্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীতের পরে ‘রবীন্দ্র-নজরুল’ গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ‘কাবুলিওয়ালা’ পরিবেশিত হয় শ্রুতি নাটকের মধ্য দিয়ে। সঙ্গীত এবং আবৃ্ত্তির অনুষ্ঠানও হয়। রবীন্দ্রনাথের ‘বশীকরণ’ নাটক দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কণিকা ঘোষ। |
|