মেছোভেড়িতে জল ঢোকার নালায় উদ্ধার হল দু’জনের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাড়োয়ার ঘটনা। মৃতদের নাম উত্তম দাস (৪৫) ও ধনঞ্জয় দাস (৪০)। উত্তমের বাড়ি হাড়োয়ার উচিলদহ গ্রামে ও ধনঞ্জয়ের বাড়ি গোসাবার উত্তরডাঙা গ্রামে। দেহ দু’টি উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় এক জন জলে পড়ে যান। তাঁকে বাচাতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় অপর জনেরও। তবে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছু বলা সম্ভব না।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বসিরহাটের আটপুকুর পঞ্চায়েতের উকিলদহ গ্রামে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন উত্তমবাবুর। বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মেছোভেড়িতে কয়েক শতক জমি লিজ নিয়েছিলেন তিনি। ওই জমিতে কারা মাছ ধরবে, তা নিয়ে এ দিন দুপুরে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। টেন্ডারের কাজ শেষ হওয়ার পরে মদ খেয়েছিলেন উত্তমবাবু। এর পরে সেখান থেকে আরও এক কিলোমিটার দূরে তিন নম্বর মোগলাখালিতে কেমন ধান হয়েছে, তা দেখতে যান তিনি। অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে যান তাঁর আত্মীয় ধনঞ্জয়বাবু। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে হাড়োয়ায় ধান রুইতে উত্তমবাবুর বাড়ি এসেছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনিও ফিরছেন না দেখে তাঁদের খুঁজতে যান প্রতিবেশী রবিন মিস্ত্রী। উত্তমবাবুর ছেলে বুবাই বলে, “গ্রামে এসে রবিনবাবু জানান, মেছোভেড়ির পাশে নালায় বাবা পড়ে রয়েছেন। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে।” ঘটনাস্থলে গিয়ে জলের তলা থেকে উদ্ধার হয় ধনঞ্জয়বাবুর দেহও। মৃতের পরিবারের দাবি, এক জনের দেহ জলের তলা থেকে উদ্ধার করা হলেও অন্য জনের মাথা জলের উপরে ছিল। হাত দিয়ে ভেড়ির ঘাসও ধরা ছিল। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। |