বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাগীরথী সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার ভূমিপুত্র প্রয়াত মণীষী রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর নামে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর সেতুটির জরাজীর্ণ দশা পরিবহণ সমস্যা ছাড়াও ওই মণীষীর মহিমা ও কীর্তিকেও ম্লান করছে, বিদ্রুপ করছে। সেতুর দু’পারের রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত। সেতুর উপরেও রয়েছে গর্ত। ভাঙাচোরা ওই সব অংশ দিয়ে তাকালে নীচের নদীর প্রবাহিত জল দেখা যায়। অথচ ওই সেতুটির উপর দিয়েই উত্তরবঙ্গে যেতে হয়। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগ রক্ষাকারী এ রকম গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির বেহাল দশার কারণে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। তার ফলে তৈরি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। অথচ সেখানে ট্রাফিক পুলিশের টিকিও দেখা যায় না। সেতুটির উপরে অনেক গুলি বাতিস্তম্ভ থাকলেও আলো জ্বলে না। দ্রুত এ সব অব্যবস্থার নিরসন করা হোক।
বিশ্বজিৎ মহন্ত, ভাকুড়ি
|
বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার মাঠের চারপাশে ব্রিটিশ আমলের প্রাচীন ও বৃহদাকার গাছগুলি কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, একই সঙ্গে ওই গাছগুলি শহরের সম্পদ ও ঐতিহ্যও বটে। একই রকম গাছ ছিল শহরের মধুপুর এলাকায় সড়কপথের পাশে। সে সব গাছ মরে গিয়েছে বা মেরে ফেলা হয়েছে। ব্যারাক স্কোয়ার মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোনের একটি প্রাচীন গাছ সম্প্রতি মারা গিয়েছে। বর্ষার জল পেয়ে মরা শাখা প্রশাখা গুলি নরম হয়ে গিয়েছে। ফলে পথচারী ও যানবাহনের উপর ওই শাখা প্রশাখা ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
অমরনাথ মণ্ডল, বহরমপুর
|
বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাকুড়ি থেকে বহরমপুর বাস টার্মিনাস পর্যন্ত ৬-৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথের একটি অংশ জাতীয় সড়ক ও বাকি অংশ পুরসভার। বিগত ৪ বছর ধরে ওই পথের নিত্যযাত্রী হওয়ায় ও রাস্তার পাশের বাড়িতে বাস করায় অত্যন্ত অসুবিধার মধ্যে রয়েছি। রাস্তার বেহাল দশার কারণে ওই এলাকার ব্যবসায়ী থেকে বসবসকারী সবারই আমার মতো কাহিল দশা। রাস্তায় বিশাল বিশাল খানাখন্দ। প্রতিবারই বর্ষার আগে রাস্তা খানাখন্দে ভরে যায়। ৪ বছর ধরে দেখছি মেরামতির নামে সেই খাদ গর্তে দেওয়া হয় পাথরের গুড়ো বা ঘেষ। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বা ভারি যানবাহন চলার ফলে দু’ দিনেই সড়কপথ ফের আগের বেহাল দশায় ফিরে যায়। গাড়ি ভেঙে পড়ে থাকে রাস্তায়। সৃষ্টি হয় যানজট। এর অসহনীয় দশা থেকেআমাদের কি ত্রাণ নেই?
চম্পা বিশ্বাস, বহরমপুর
|
বেশ কিছু দিন থেকে জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহে অনিয়ম শুরু হয়েছে। জল সরবরাহের সময়ের ঠিক থাকছে না। বাড়িতে লাগানো ট্যাপকল থেকে এত আস্তে জল পড়ছে যে বালতি ভর্তি হতে ৭-৮ মিনিট সময় লাগছে। কি কারণে জল সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে সে ব্যাপারে পুরসভা থেকে কোনও ঘোষণাও করা হয়নি। জলকর দিয়েও সময় মতো জল না পাওয়ার সমস্যা থেকে লোকদের রেহাই দেওয়ার জন্য পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ |