পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলায় ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর মডেল প্রদর্শিত করে ‘গ্রুপ-এ’তে (মাধ্যমিক স্তর) রাজ্য সেরা হল বোলপুরের বাঁধনবগ্রাম গাঁধীবিদ্যাপীঠ।
ওই মডেল তৈরি করেছে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী কাকলি পাল ও মধুমিতা ঘোষ। এর জন্য বুধবার তাদের ও স্কুলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের যুব বিজ্ঞান দফতর, উচ্চশিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের উদ্যোগে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞান বিষয়ক এই প্রদর্শনী বিষয়ক প্রতিযোগিতা সম্প্রতি কলকাতায় হয়েছে। একই গ্রুপে বোলপুরের বাঁধনবগ্রাম জেলার সেরা হয়েছিল আগেই। বাঁধনবগ্রাম গাঁধীবিদ্যাপীঠের শিক্ষক প্রদীপকুমার ঘোষ, সুব্রত মণ্ডল, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ব্যাটারির গুণগত মান বজায় রেখে স্থায়িত্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টা করেছে ওই দুই ছাত্রী। তুলসী, ব্রাহ্মী ও অড়হরের মতো গাছগাছালির রস সংগ্রহ করে ব্যাটারির খয়রোধ কমিয়ে তার স্থায়িত্ব বাড়ানোর মডেল করেছে।” |
পুরস্কার হাতে দুই ছাত্রী কাকলি ও মধুমিতা। —নিজস্ব চিত্র। |
কৃষক পরিবারের দুই ছাত্রী কাকলি ও মধুমিতার কথায়, “এই প্রতিযোগিতায় নাম দেওয়ার আগে আমাদের চিন্তা ভাবনার কথা শিক্ষকদের জানাই। তাঁদের পরামর্শ এবং সহায়তায় জেলার সেরা হয়েছিলাম। এ বার রাজ্য সেরা হয়ে খুব ভাল লাগছে।”
প্রধান শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “সংখ্যালঘু, অনুন্নত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে পড়ে। তাদের সাফল্যে আমরা খুশি।” এ দিকে, রাজ্য থেকে ‘গ্রুপ-এ’র জন্য মোট ৫৭টি মডেল নির্বাচিত হয়েছিল। রাজ্য সেরা ওই দুই ছাত্রীকে মোট দশ হাজার টাকা এবং দু’টি ট্রফি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সেরা ছাত্রীদের বিদ্যালয়কেও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে উদ্যোক্তা ও আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে।
|
|
সেরার পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলার মডেল প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন মেদিনীপুর
কলেজের দুই ছাত্র শিবরাম রুইদাস ও সোমনাথ সিংহ। পদার্থবিদ্যা সাম্মানিকের তৃতীয় বর্ষের এই দুই ছাত্র
তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে মডেল তৈরি করেন । ছবি: কিংশুক আইচ। |
|