বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সঙ্গী করে নিখরচায় গরিব শিশুদের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘শিশু সাথী’ নামে ওই প্রকল্পে ৪ শিশুর অস্ত্রোপচার করে তাদের জীবন দিল দুর্গাপুরের মিশন ও কলকাতার বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার।
রিয়া তালুকদার ও জগন্নাথ সোরেনের অস্ত্রোপচার হয় মিশন হাসপাতালে। জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট হত ৮ বছরের রিয়ার। বুক ধড়ফড় করত। চিকিৎসার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাকে হৃদরোগী হিসেবে সন্দেহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। তখনই ধরা পড়ে হৃদযন্ত্রের জটিল অসুখ। ১৩ বছরের জগন্নাথেরও হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। হার্টের দু’টি ভাল্ভই বাদ দিয়ে নকল ভাল্ভ প্রতিস্থাপিত হয়। মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু বলেন, “বছরে ৫০০টি এমন অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি আমরা।”
বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে অস্ত্রোপচার হয়েছে সন্দীপা বিশ্বাস (৪) ও কৌশিক হাজরার (৮)। দু’জনেরই হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ছিল। হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, “ভবিষ্যতেও এমন অস্ত্রোপচার করে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করব।”
স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর কথায়, “স্কুল-পড়ুয়াদের মধ্যে হৃদযন্ত্রের অসুখ নির্ণয় করতে বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা এমন শিশুদের খুঁজে বার করে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। যেহেতু সরকারি হাসপাতালে রোগীর বিপুল চাপ, তাই বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ ভাবে এ কাজ শুরু হয়েছে।” নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই সব অস্ত্রোপচারের জন্য কেন্দ্রের ‘বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’ থেকে অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। সাধারণ ভাবে সরকারি কর্মীদের অস্ত্রোপচারের জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে যে খরচের চুক্তি হয়েছে, তার থেকেও আরও ২৫ শতাংশ ছাড় দেবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলি। |