একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৯০ লক্ষ গাছ লাগিয়ে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গাছ লাগানোর জন্য প্রথম পর্যায়ে ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মানিকচকের ভূতনি এলাকায় ভিট্রিভার গাছ লাগানোর কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ওই গাছের শেকড় মাটির গভীরে বিস্তার করে ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করে বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি, প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে ভিট্রিভার নামের ওই গাছ লাগিয়েই হুগলিতে ভাগীরথী নদীর ধারে লাগিয়ে ভাঙন রোখা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিহার পুরাতন সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “গঙ্গা ভাঙনে মালদহ জেলার মানিকচক, কালিয়াচকের একাধিক এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছ। ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ কেন্দ্রীয় সরকার করবে। অথচ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এমনকি জেলার দুই সাংসদও কোনও উদ্যোগ নেননি। তাই ভাঙন সমস্যা সমাধান করতে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় নদীর ধারে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”প্রথম পর্যায়ে ৫ কোটি টাকার গাছ লাগানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আরো ১০ কোটি টাকার গাছ লাগানো হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা খরচ করে ৯০ লক্ষ চারাগাছ লাগানো হচ্ছে। এই গাছ লাগানোর ফলে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার শ্রম দিবস খরচ হবে। তিনি বলেন, আজ থেকে মানিকচকের ভূতনি থেকে এই গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরপর মানিকচকের গোপালপুর, ধরমপুর, মথুরাপুর, কালিয়াচক ২ ও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই ধরনের গাছ লাগানো হবে। মালদহের কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের মন্ত্রীরা মিথ্যে বলছেন। গত ৫ বছরে ভাঙন রোধে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি। যার ৪০ কোটি টাকা এখনও ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। পাথর দিয়ে যেখানে ভাঙন আটকানো যায়নি, সেখানে গাছ লাগিয়ে কী হবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।”
ছিনতাই। বকেয়া টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই চাল ব্যাবসায়ীকে মারধর করে তিন লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে গিয়েছে একদল দুস্কৃতী। বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার থানার মিল্কির কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতী ধরতে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ জানায়, কালিয়াচকের সুজাপুরে চাল ব্যবসায়ী শাহদাদ হোসেন ও মাহাবুব আলম মিল্কি ও অমৃতি এলাকা থেকে বকেয়ার চালের টাকা তুলে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। শাহদাদ জানিয়েছেন, আমাদের গাড়ির সামনে ছোট গাড়ি দাঁড়ায়। চারটি বাইকে ১২ জন এসে পাইপগান দেখিয়ে টাকা লুঠ করে। |