|
|
|
|
 |
|
গা-ছমছমে মন্দির |
 |
পুণ্য অর্জন এবং সৌন্দর্য উপভোগ, দুটি একসঙ্গে করতে হলে যেতে হবে জলপাইগুড়ি শহর থেকে কিছুটা দূরে বোদাগঞ্জে। শহর ছাড়িয়ে বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর ঘন বনাঞ্চল। সেই অরণ্যে রয়েছে ভ্রামরী দেবীর মন্দির। দেবীর ছ’টি হাত, পদতলে মহাদেব। এই মন্দিরের বৈশিষ্ট্য, এখানে দেবীর বাম পা পূজিত হয়। কথিত আছে, সতীর শরীরের একটি অংশ এখানে পড়েছিল। প্রতি বছর জুন মাসে এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মন্দিরের খুব কাছে তিস্তা নদীর বাঁধ। জনশ্রুতি, বাঁধ তৈরির সময় একটি অংশ নির্মাণে শ্রমিকরা বাধা পাচ্ছিল। স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্রমিকরা দেবীর পুজো করলে সেই বাধা কেটে যায়। মন্দিরের সামনে চোখে পড়ে, অদ্ভুত বটগাছ। কারও মতে, একটি গাছই দু’টি ভাগ হয়েছে। কেউ মনে করেন, গাছ একটি, অন্যটি ঝুরি। দেবী দর্শনের পাশাপাশি, মন চাইলে প্রকৃতির মধ্যে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। রুরাল ইনফ্রা-স্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড প্রকল্পে বনবিভাগ কটেজ তৈরি করেছে। সারা বছর ভিড় থাকে। মাঘী পূর্ণিমায় পালিত হয় বার্ষিক পুজো উৎসব। উৎসব উপলক্ষে মেলা বসে। চলে ৭ দিন। দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীর ঢল নামে উৎসবে। ছমছমে বনাঞ্চলের মধ্যে জনশ্রুতি-ঘেরা একটি মন্দিরসব মিলিয়ে অন্য অভিজ্ঞতা!
|
লেখা ও ছবি: সুদীপ দত্ত। |
পেশাদার নৃত্যশিল্পী |
 |
শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, তাঁর প্রতিভা ও সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বাইরেও। আড়াই বছর বয়সে পিসি আলো দে সরকারের কাছে শিখেছিলেন নাচের অ-আ-ক-খ। পরবর্তী কালে পাঠ নেন শৃঙ্গারমণি বিল্টু সরকারের কাছে। আলিপুরদুয়ারের মধ্য চেচাখাতার বাসিন্দা ত্রিদিব দে বর্তমানে নৃত্যকলা নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন উদয়শংকর ডান্স ফেস্টিভ্যাল, কোণারক ও পুরী বিচ ফেস্টিভ্যাল, আন্দামান নিকোবরে অনুষ্ঠিত ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালেও। নৃত্য পরিবেশন করেছেন জয়পুর, উদয়পুর এবং সুরাটে। গিয়েছেন গিরিজা দেবীর ডান্স আকাদেমি ‘দেবী প্রতিধ্বনি’র অনুষ্ঠানেও। মঞ্চস্থ নৃত্যাভিনয় ‘কৃষ্ণ কানহাইয়া’, ‘মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’, ‘মনসামঙ্গল’, ‘ভানুসিংহের পদাবলি’ কিংবা ‘শ্যাম’-এ পাওয়া যায় নৃত্য পরিকল্পনা পরিচালনায় পেশাদারিত্বের নমুনা। ২০১১-য় রাজধানীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানটিতে উত্তরবঙ্গ থেকে অংশগ্রহণকারী ত্রিদিব রাষ্ট্রপতিভবন, উপ রাষ্ট্রপতিভবন এবং সংসদ ভবনে উপস্থাপিত করেছেন তাঁর নৃত্যকলা। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে গড়ে তুলেছেন ওঁর নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘নবগুঞ্জন নৃত্যভাষা ডান্স আকাডেমি’। পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে তালিম দিয়ে তৈরি করছেন ভারতের শাশ্বত নত্যকলার সার্থক উত্তরাধিকারী। |
লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত। |
|
|
 |
|
|