মরণোত্তর চক্ষুদানের সচেতনতা নিয়ে প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে পালিত হল ‘জাতীয় অন্ধত্ব দূরীকরণ’ পক্ষ। সেই উপলক্ষে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৫ দিন ধরে লাগাতার প্রচার চালায় শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র ও চক্ষু ব্যাঙ্ক। ট্যাবলো-সহকারে মিছিল, পথসভা, আলোচনাচক্র হয়। সহযোগিতায় ছিল উত্তরপাড়া লাফিং ক্লাব, রিষড়া নেতাজি জনকল্যাণ সমিতি-সহ বিভিন্ন সংগঠন। হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতার বিভিন্ন শ্মশান এবং হাসপাতালে প্রচার চলে। ৩১ অগস্ট কেওড়াতলা শ্মশানে যৌথ ভাবে প্রচার চালায় শ্রীরামপুর এবং হাওড়ার তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় এবং রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। বালি অ্যাপেক্স ক্লাবের পক্ষেও মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অভিযান হয়।
|
রক্ত সঞ্চয় কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোতুলপুর |
রক্তক্ষরণের জেরে প্রসূতি মৃত্যু হার ঠেকাতে গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও রক্ত সঞ্চয় কেন্দ্র চালু করছে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এমনই এক রক্ত সঞ্চয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সদস্য প্রবীর গড়াই। উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার সুব্রত বিশ্বাস, রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার জেলা প্রতিনিধি জয়মাল্য ঘর প্রমুখ। জয়মাল্যবাবু বলেন, “অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতি মৃত্যু হয়। তা ঠেকাতে এ বার গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে এই কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। আগে খাতড়া, অমরকানন হাসপাতালে চালু হয়েছে। পুজোর আগে সোনামুখীতেও ওই কেন্দ্র হবে।”
|
শিশুর পেটে ভ্রূণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২০ দিন বয়সী শিশুর পেট থেকে বেরোল দু’টি অপরিণত ভ্রূণ। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজে পেডিয়াট্রিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান সুকান্ত দাস ও চিকিৎসক হীরালাল কোনার অস্ত্রোপচার করেন। তাঁরা জানান, একটি ভ্রূণের হাত-পা-মাথার খুলি ও অন্য ভ্রূণের দু’টি পা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র সুমন বিশ্বাস জানান, চিকিৎসার ভাষায় একে বলে ‘ফিটাস ইন ফিটো।’ প্রতি ৫ লক্ষ সদ্যোজাতের মধ্যে এক জনের এমন হয়। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ তৈরির প্রাথমিক স্তরে এক বা একাধিক ভ্রূণ ঘিরে অন্য ভ্রূণ তৈরি হলে এমন হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুটির জন্মের আগেই তার পেটের ভ্রূণ দু’টির মৃত্যু হয়।
|
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর করল রোগীর পরিজনেরা। মঙ্গলবার, হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুরির কালীতলাতে। পুলিশ জানায়, তিন দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে শৈবাল দাগরা (২৬) নামে স্থানীয় এক যুবক ভর্তি হন ওই বেসরকারি হাসপাতালে। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর জন্ডিস হয়েছে। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ দিন সকালে আইসিসিইউতে শৈবালের মৃত্যু হয়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিজনেরা। |