শিকারিরা যাতে ক্ষতি না করতে পারে, সে জন্য নজরে আসা মাত্রই পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যকে ডেকে আহত সজারুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মঙ্গলবার সজারুটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেন তাঁরা। |
মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সমীর হাজরা, নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও চিকিৎসক শঙ্কর মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “সোমবার রাত ১২টা নাগাদ আমরা ঝোপের ধারে ওই সজারুকে দেখতে পেয়ে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য পিন্টু ঘোষকে জানাই। রাতেই তার চিকিৎসা করে খেতে দেওয়া হয়।” বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ অগস্ট দুবরাজপুর থেকে উদ্ধার হওয়া আহত এই সজারুকে বোলপুরের বল্লভপুর অভায়ারণ্যে পাঠানো হয়। বোলপুরের রেঞ্জার অনিল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছিল সজারুটি। রাতে খাঁচার তারকাঁটা পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল হয়তো। তাই চোট পেয়েছে।”
|
মাল মহকুমার লাটাগুড়ি-নেওড়া মোড়ের কাছে জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী ২ বিভাগের তৈরি প্রকৃতি পরিচিতি কেন্দ্রটি দেখভালের অভাব ও বন দফতরের উদাসীনতায় ক্রমশই জীর্ণ হয়ে পড়ছে। এক সময়ে বন্য প্রাণী দেখতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করত এলাকাটি। প্রচুর হরিণ ছাড়াও এখানে দেখা যেত নানা প্রজাতির সাপও। |
পর্যটক টানতে তৈরি করা হয়েছিল ফোয়ারা, আলো এ ধ্বনিতে পর্যটকেরা পরিচিত হতেন বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান ও তাঁদের ডাকের সঙ্গে। পরিবেশ প্রেমীদের জন্য একটা গবেষণাগার তৈরি করা হলেও দীর্গ দিন ধরে তা তালাবন্ধ পড়ে রয়েছে। এমনকী ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও একটি মিউজিয়াম তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পরে তা মাঝপথে থেমে গিয়েছে। এখন সেখানে হাতে গোনা কয়েকটি হরিণ আর শাল-চিরলি-টুন গাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।
|
সোমবার রাতে বড়জোড়ার ওয়াড়া গ্রামে হানা দিল হাতির পাল। ক্ষতিগ্রস্ত হল দু’টি বাড়ি। নষ্ট হয়েছে মাঠের ফসল। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সাহারজোড়ার জঙ্গল থেকে হামলা চালাচ্ছে হাতির দলটি। বনাধিকারিক জানান, ১০০টি হাতি বড়জোড়ায় ৬টি দলে ভাগ হয়ে রয়েছে। একটি দল হানা দিয়েছিল।
|