বেলাইন লাইফলাইন
আজ দ্বিতীয় ভাগ |
ইস্ট-ওয়েস্ট ছাড়াও শহরে মেট্রো রেলের আরও চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। মোট খরচ ধরা হয়েছে
সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কোনও কাজই সিকিভাগের বেশি এগোয়নি। কোথায়
এবং কেন আটকে রয়েছে প্রকল্পগুলি? ঘুরে দেখলেন আনন্দবাজারের প্রতিনিধিরা।
|
প্রকল্প: জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো
দূরত্ব: ১৭ কিলোমিটার
প্রকল্প ব্যয়: ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা
কাজ হয়েছে: ১০ শতাংশ
কাজ শেষ হওয়ার কথা: ২০১৫-১৭
কবে শেষ হবে: জানেন না মেট্রোকর্তারা |
|
১) তারাতলায় টাঁকশাল: ডায়মন্ড হারবার রোডে টাঁকশালের উপর বা নীচ দিয়ে দিয়ে লাইন গেলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তাই অনুমতি দেননি কর্তৃপক্ষ। লাগোয়া জমি অধিগ্রহণ করে থাম বসানোর অনুমতিও কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরে আটকে। মেট্রোর বক্তব্য, টাঁকশালের নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হবে লাইনের দু’পাশ।
২) ফোর্ট উইলিয়ামের জমি: নিরাপত্তার কারণেই হেস্টিংসের কাছে ফোর্ট উইলিয়ামের জমির উপর দিয়ে লাইন নিয়ে যাওয়ায় আপত্তি সেনার। কোথা দিয়ে লাইন বিবাদী বাগ পর্যন্ত যাবে, তার নকশাই এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি।
১ ও ২ নম্বর সমস্যা নিয়ে আনন্দবাজারের মত: আগুপিছু না ভেবেই প্রকল্প ঘোষণা করার ফল ভুগছে মেট্রো। জলে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কার্যত গোটা প্রকল্পই এখন বিশ বাঁও জলে। |
বেহালার ম্যান্টন এলাকায় | ছবি: অরুণ লোধ |
৩) ভূতল পরিবহণের অফিসের পাশের জমি: তারাতলার কাছে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যার সমাধানসূত্র মেলেনি।
৪) স্টেশনের জন্য জমি: জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত স্টেশনগুলির জমি দেওয়ার কথা পুরসভার। তা মেলেনি।
৩ ও ৪ নম্বর সমস্যা নিয়ে আনন্দবাজারের মত: পুরসভা ও মেট্রোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে কাজ এগোচ্ছে না।
|
প্রতিবেদন: অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভাশিস ঘটক |
পুরনো খবর: বেলাইন লাইফলাইন ১.. |