হাসনাবাদে খুন সিপিএম নেতা, দেহ নিয়ে শোকমিছিল গ্রামে |
দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি। নিহতের নাম জাহাঙ্গির আলম। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালায়। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শক্তি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই জাহাঙ্গিরকে মেরেছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, ঘটনায় তাদের কোনও কর্মী-সমর্থক জড়িত নন। সিপিএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য জানান, আলিমুদ্দিনে দলীয় অফিসে নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখান থেকে অসীম দাশগুপ্তর নেতৃত্বে একটি বাম প্রতিনিধি দল নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে যাবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। ময়নাতদন্তে দেরির কারণে নিহত নেতার দেহ আলিমুদ্দিনে আনার পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়। কারণ, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেহের ময়নাতদন্তের কথা থাকলেও হাসনাবাদ থানা থেকে কিছু জরুরি নথি বসিরহাট হাসপাতালে দেরিতে এসে পৌঁছনোয় তা শেষ হয় বেলা তিনটেরও পর। ফলে দেহটি কলকাতায় আনার কর্মসূচীতেও বদল করা হয়।
জাহাঙ্গির আলমের দেহটি নিয়ে তাঁর গ্রামেই বিক্ষোভ মিছিল করবেন তাঁর পরিবার-সহ স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হবে রাজ্যপালকে। গৌতম দেবের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। এই সমাবেশে গৌতম দেব পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ময়নাতদন্তে ইচ্ছাকৃত দেরির অভিযোগ করেন। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অসীম দাশগুপ্ত এই ঘটনায় পুলুশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ আনেন। এই খুনের ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
|
কথায় বলে— মনের কোনও বয়স হয় না। কিন্তু জীবনের নানা অভিজ্ঞতায় এবং ঘটনার চাপে মনের বয়স না চাইলেও কখন যে হঠাত্ বেড়ে যায় তা আমরা জানতেও পারি না। কিন্তু যাদের মনের উপর সত্যিই কোনও দিন বয়স, সময় বা পারিপার্শ্বিকের ছাপ পড়ে না তাদের আমরা আমাদের সমাজে ‘স্বাভাবিক জায়গা’ দিতে পারি না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। এঁদেরই আমরা Special child বা autistic child বলে থাকি। এই সব শিশুরা সমাজের ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়া সদস্য।
এ বার দিল্লির এক সাংবাদিকের উদ্যোগে এরাই এগিয়ে এলো আমাদের নজরের একেবারে সামনের সারিতে... সানি ডি’কোস্টা— এই অটিস্টিক শিশুটিকে নিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি বানালেন ওই সাংবাদিক। ৬ মিনিটের এই ছবিতে ধরা পড়েছে শিশুটির নানা অভিব্যক্তি, অস্ফুট আবেদন, হাসি-কান্না। ছবিতে ফ্রেম বন্দি হয়েছে সারাদিন নিজের খেয়ালে কাটানো সানির এক টুকরো দিন। আমাদের ব্যস্ত জীবনের থেকে ৬ মিনিট খরচ করলেই জানা যাবে কি ভাবে সময়, বয়স, ব্যস্ততাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের কল্পনার জগতে অবিরাম খেলে চলেছে সানি। ‘এ পৃথিবীকে প্রতিটি শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি’— কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায় তাঁর এই স্বপ্ন কবে পূরণ হবে তা জানা নেই, তবে সানির অজানা মন, অজানা পৃথিবীর কিছুটার দেখা মিলতে পারে এই তথ্যচিত্রে। |