সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে বহু পুকুর। আর তার ফলেই শহরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কালনার বাসিন্দারা। দুর্গন্ধ ছড়ানো, নিকাশির সমস্যা থেকে মশার দাপট বৃদ্ধি, পুরসভার আনাচে কানাচে এখন এ সব সমস্যা শুরু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পে এই সব পুকুর সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেও কালনা পুর এলাকায় আস্ত পুকুরের সংখ্যা ছিল শ’দুয়েক। শহরের নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এই সব পুকুরগুলির বড় ভূমিকা ছিল। অনেক পুকুরে মাছচাষও হত। কিন্তু সংস্কারের অভাবে ক্রমশই নষ্ট হতে বসেছে পুকুরগুলির জলধারণ ক্ষমতা। ফলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঘণ্টা দু’য়েকের বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে শহরের বড় রাস্তা থেকে অলিগলিতে। জলবন্দি থাকতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। |
আগাছায় ভরেছে পুকুর। —নিজস্ব চিত্র। |
পুকুরগুলি মজে যাচ্ছে যাওয়ার পিছনে সংস্কারের অভাবকেই দুষেছেন এলাকাবাসী। শহরের একটি পুকুরের মালিক শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “মাছ চাষের খরচ বাড়ছে। অনেক সময়ে কষ্ট করে মাছ চাষের পরেও লাভ হয় না। তার পরে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে পুকুর সংস্কারের আর ইেচ্ছে থাকে না।” পুকুর সংস্কারে টাকাই যে প্রধান সমস্যা তা মানছেন অন্য নানা পুকুরের মালিকেরাও।
কালনার বাসিন্দা পরিমল ঘোষ, আলপনা মল্লিকদের অভিযোগ, “মজা পুকুরগুলিতে আগাছা জন্মাচ্ছে। বাড়ছে পোকার উপদ্রব। পুকুরগুলি থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধের জন্য বাড়িতে থাকাই দায়।” ওই সব পুকুর মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। ফলে, বাড়ছে রোগও।
সমস্যার কথা মানছে কালনা পুরসভাও। পুরপ্রধান তথা কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কণ্ডু বলেন, “শহরের মজা পুকুরগুলির সংস্কার প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুরগুলির সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।” রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “মন্ত্রী শহরের মজা পুকুরগুলি সম্পর্কে বিশদে তথ্য চেয়েছেন।” |