১৫তম বার্ষিক শিল্প প্রদর্শনীতে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ানোয় জোর দিল বিশ্বভারতী। শনিবার শান্তিনিকেতনে কলাভবনের নন্দন আর্ট গ্যালারিতে ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপিকা তপতী মুখোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের মধ্যে সুপ্ত থাকা হস্ত-কুটির শিল্পের ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতেই এই উদ্যোগ। শ্রীনিকেতনের সন্তোষ পাঠশালা ও শিক্ষাসত্রের শতাধিক পড়ুয়ার নানা শিল্পকর্মের সম্ভার রয়েছে ওই প্রদর্শনীতে। বিশ্বভারতীর শিক্ষাসত্রের অধ্যক্ষ জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, “পাঠশালা থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নানা হস্ত শিল্পকর্ম এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। পড়ুয়াদের প্রতিভা আর উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশই আমাদের লক্ষ্য। এই প্রদর্শনী তাঁদের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হলেও সারা বছর ধরে তাদের তৈরি শিল্পকর্ম দিয়েই তা সাজানো হয়েছে।” শিক্ষাসত্র সূত্রে খবর, ওই প্রদর্শনীতে কারু শিল্প, হস্ত ও বয়ন শিল্পের নানা শিল্প কর্ম ছাড়াও প্রায় দেড়শো ‘ক্লে মডেল’ রয়েছে। জল রং, তেল রং-সহ নানা মাধ্যমের তিনশোরও কিছু বেশি পেইন্টিং রাখা হয়েছে। হরেক আসবাবও জায়গা পেয়েছে এখানে। জয়ন্তবাবু জানান, অন্য বারের তুলনায় এ বারের বার্ষিক শিল্প প্রদর্শনীতে জীবন্ত বিষয়গুলি ছাত্রছাত্রীদের শিল্পকর্মে বেশ প্রতিফলিত হয়েছে। প্রদর্শনী চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
|
গ্রামবাসীর তৎপরতায় ভয়াবহ আগুনের হাত থেকে বাঁচলেন পাড়ুইয়ের পাহালা গ্রামের শতাধিক পরিবার। শনিবার রাতের ঘটনা। যদিও ওই অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। দমকল এসে পৌঁছতে না পারলেও ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় এলাকার মানুষই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ১০টা নাগাদ গ্রামের মাঝপাড়ায় আগুনের শিখা বেরোতে দেখেন বাসিন্দারা। শেখ হারুন আল রশিদ ও তাঁর দুই প্রতিবেশী শেখ তুহিনুদ্দিন এবং তাইরুন বিবি-র বাড়িতে আগুন লেগেছিল। খবর চাউর হতেই আগুন নেভাতে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে যান। দমকলকেও খবর দেওয়া হয়। ছোট ডোবা থেকে পাম্পে জল তুলে ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে তিনটি বাড়িই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে অন্য বাড়িগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসার খবর দিলে মাঝপথেই দমকল ফিরে যায়। আগুন লাগার কারণ অবশ্য জানা যায়নি। অন্য দিকে, প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবি করেছেন বাসিন্দারা।
|
পাম্প হাউসের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ায় দিন পাঁচেক থেকে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে রাজনগরের বেশ কয়েকটি গ্রামে। জনস্বাস্থ্য ও করাগরি দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে রাজনগরের পদমপুর গ্রামে চালু হওয়া জল প্রকল্প থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ওই ব্লকের রাজনগর, আড়ালি, পদমপুর এবং শিবপুর মৌজার ২০-২২টি গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়। কিন্তু যন্ত্রংশ খরাপ হয়ে যাওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ পদমপুর ছাড়া বাকি মৌজার গ্রামগুলিতে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে বেশ কিছু গ্রামের মানুষকে পানীয় জলের জন্য গ্রামের সরকারি কুয়ো বা নদীর মতো বিকল্প খুঁজতে হয়েছে। আর তাতেই হজমের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, কতদিন লাগবে সমস্যা মিটতে? জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর্ধেন্দু দত্ত বলেন, “শুনেছি। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে যে যন্ত্রাংশ খারাপ হয়েছে সেটি কলকাতা থেকে এনে লাগাতে হবে বলে কিছুটা সময় লাগছে।”
|
রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের কম্পিউটার বিভাগ ও নতুন কক্ষের উদ্বোধন করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সাঁইথিয়ার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, স্কুল পরিচালক ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক চণ্ডীচরণ সাধু, সভাপতি স্বামী সারদাত্মা নন্দ প্রমুখ। দু’টি ঘরই তৈরি হয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায়ের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায়। উদ্বোধনের পরে পার্থবাবু বলেন, “রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে।” এ দিনই বীরভূমে শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। নিশ্চয় শিল্প হবে। তবে শিল্প হতে গেলে রাস্তার প্রয়োজন।” ঠিক মতো রাস্তা গড়া হলে ভবিষ্যতে সাঁইথিয়াতেও শিল্প গড়া সম্ভব বলে মন্ত্রী মনে করেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে পার্থবাবু এলাকার একটি ক্লাবের গণেশ পুজো উদ্বোধন করে বাংলায় শিল্প বিনিয়োগ বাড়ার প্রার্থনা করেন।
|
রাজ্য ক্রীড়া দফতরের আর্থিক সহায়তায় বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাটের নবীন ক্লাবে একটি মাল্টি জিমের উদ্বোধন করেন সাংসদ শতাব্দী রায়। |