ভালবাসা পাওয়ার জন্য মানুষ কী না করতে পারে! তারই প্রমাণ পাওয়া গেল শিকাগোর একটি বিলবোর্ডে।
শিকাগোর স্টিভেনসন এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এগোলে আপনার নজরে পড়বেই এই বিলবোর্ডটি। চেষ্টা করলেও এড়ানো যাবে না। কিন্তু কেন? কী এমন আছে তাতে? বিলবোর্ডে লেখা, “আই অ্যাম গর্ডন। লেট’স হ্যাভ ডিনার।” বেশ কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়েছে এই বিলবোর্ড বানানোর জন্য। বিলবোর্ড লিখেই মেয়ে খোঁজার চেষ্টা শেষ করেননি। বানিয়ে ফেলেছেন এই সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটও।
অভিনব এই কায়দায় নিজের মনের মানুষ খুঁজতে শুরু করেছেন শিকাগোর গর্ডন অ্যাঙ্গেল। তাঁর ওয়েবসাইটে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন গর্ডন অ্যাঙ্গেলের সম্পর্কে সবিস্তার সব তথ্য। |
ছ’ফুটের গর্ডনের শৈশবের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে ফিলিপিন্সে। পরে পরিবারে সঙ্গে চলে আসেন কানসাসে। এখন তাঁর ঠিকানা কখনও আমেরিকা, কখনও আবার সুইডেন। পেশায় ব্যবসায়ী গর্ডন ভালবাসেন দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে, রান্না করতে, গান শুনতে, পিয়ানো আর গিটার বাজাতে। এক বার বিয়ে করলেও সেটা টেঁকেনি। সে জন্যই আবার সঙ্গী খুঁজছেন তিনি।
ঠিক কেমন মেয়ে চাইছেন গর্ডন? নিজের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, তাঁর এক জন বুদ্ধিমতী মেয়ে চাই, যার রসবোধও থাকবে। ওঁর পছন্দ-অপছন্দের সঙ্গে যে দিব্যি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে।
সংবাদমাধ্যমকে গর্ডন জানিয়েছেন, বিলবোর্ড দিয়ে ভাল সাড়াও পাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ২০ জন মেয়ের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন। তাতে তিনি যথেষ্ট খুশি।
আগে দেখা গিয়েছে, আমেরিকার গাড়ির পিছনে বোর্ডে লেখা থাকত ‘সঙ্গী চাই’-এর মতো কিছু বার্তা। তার পর ফেসবুকে অনেকেই নিজের ভালবাসার মানুষ খুঁজেছেন। পেয়েওছেন। কিন্তু এখন আর কোনও রকম রাখঢাক না রেখে সরাসরি বিলবোর্ড ভাড়া করে সঙ্গী চেয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন রাস্তার মোড়ে। মনোবিদেরা বলছেন, এ থেকে একটা বিষয়ই স্পষ্ট হচ্ছে মানুষ এখন অনেক বেশি ভালবাসার কাঙাল।
সংবাদমাধ্যমকে গর্ডন বলেছেন, “আমরা পড়াশোনা করার জন্য বা বাড়ি কেনার জন্য যদি এত এত টাকা খরচ করে থাকতে পারি, তা হলে ভালবাসা পেতেই বা করব না কেন?” শুধু এটুকুই নয়। পরে তিনি আরও বলেন, “শহরের বুকে অনেক রকম বিলবোর্ড দেখা যায়। বিয়ে সংক্রান্ত অনেক ওয়েবসাইটও আছে। তাই আমার মনে হল বিলবোর্ডটাই ভাল হবে।” |