টুকরো খবর
গাঁজায় টান মারতে না চাওয়ায় গালে ছ্যাঁকা
গাঁজার কল্কেতে টান মারতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের গালে লাইটার জ্বালিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃতীয় বর্ষের আর এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। দু’জনেই উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। শুক্রবার রাতে বেড়াচাঁপার একটি মেসে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে শনিবার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত প্রধান বলেন, “দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের অভিযোগ, সে গাঁজা খেতে না চাওয়ায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রটি তার বাঁ গালে ছ্যাঁকা দিয়েছে। ঘটনাটা যদিও কলেজ চত্বরে হয়নি। তবুও অভিযোগ পেয়ে মনে হয়েছে, বিষয়টি কলেজের ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি’ দেখলে ভাল হয়। তাই ওই কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।” দেবব্রতবাবু জানান, দেগঙ্গা থানার পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তৃতীয় বর্ষের ছাত্রটি পলাতক। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি বিহারের মুরারপুর গ্রামের বাসিন্দা। কলেজ লাগোয়া একটি মেসে থাকেন। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রটি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ‘সাপ্লিমেন্টারি’ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বুধবারই বাড়ি থেকে ওই মেসে এসেছিলেন তিনি। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রটি গাঁজাভর্তি কল্কে এনে টান মারতে জোর করেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটিকে। প্রতিবাদ করলে তার গালে ছ্যাঁকা দেন। পরে তৃতীয় বর্ষের আর এক ছাত্র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে সরিয়ে নিয়ে যান।

তিন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ধৃত শিক্ষক
তিন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আরামবাগের একটি প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে শনিবার গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম দাশরথী কোনার। বাড়ি মলয়পুরের বাজারপাড়ায়। ওই তিন ছাত্রীর এক জনের অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দাশরথীবাবুকে ধরে। দাশরথীবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত অপরাধের কথা কবুল করেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার প্রধান শিক্ষক উত্তম মালিক স্কুলে ছিলেন না। ছিলেন এক মহিলা পার্শ্বশিক্ষক ও দাশরথীবাবু। বিকেলে তিনি চলে গেলে দাশরথীবাবু তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রী এবং চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পাঠ্য বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য অফিস-ঘরে ডেকে নিয়ে যান। এর পরে গ্রামের কয়েক জন নিজেদের প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে দাশরথীবাবুর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি জানাজানির পর শনিবার গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে দাশরথীবাবুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ আসে। আরামবাগের প্রাথমিক শিক্ষকরা অনেকেই মনে করছেন, দাশরথীবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে। উত্তমবাবু বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে শুক্রবার স্কুলে আসিনি। দাশরথীবাবু ভাল শিক্ষক। তিনি ছোটদের ভালবাসেন। তাঁকে ফাঁসানো হল কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখুক।”

‘দুর্ব্যবহার’, ধৃত
হাসপাতালে ঢুকে প্রিন্সিপাল ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং তাঁদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, ধৃত আক্রম খান কামারহাটির ধোবিয়া বাগানের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, এ দিন হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন ও নানা বেআইনি কাজের জন্য চাপ দেন আক্রম। চিকিৎসকেরা রাজি না হলে আক্রম তাঁদের হুমকি দেন। সুপার গৌতম জোয়ারদার বলেন, “ওই ব্যক্তি মাঝে মাঝে হাসপাতালে ঢুকে রোগী ভর্তি-সহ নানা কাজের জন্য চাপ দিতেন। আজ পুলিশে জানাই।” আভিযোগ, এ দিন বচসার সময়ে জিনিসও ভাঙচুর করেন আক্রম।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.