বাজেট ঘোষণা মিলিয়ে বাকি চার মেট্রো শহরেই চালু হয়ে গিয়েছে শিল্পের জন্য ‘লার্জ ট্যাক্সপেয়ার ইউনিট’ (এলটিইউ)। হয়নি শুধু কলকাতায়। কারণ, বিভিন্ন ধরনের বড় অঙ্কের কর এক-জানালা পদ্ধতিতে জমা দেওয়ার যে-সুবিধা কেন্দ্র দিতে চায়, তা নেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত সে ভাবে আগ্রহই দেখায়নি এ রাজ্যের শিল্পমহল। শনিবার বণিকসভা ফিকি আয়োজিত সভায় এ কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা পার্থসারথি সোমের প্রশ্ন, এই পরিষেবা পেতে এখন মুখিয়ে আছেন দেশের অনেক দ্বিতীয় শ্রেণীর শহরের শিল্পপতিরাও। সেখানে কলকাতায় পরিকাঠামো গড়েও স্রেফ আগ্রহের অভাবে যদি তা চালু করা না-যায়, তা হলে রাজ্যের শিল্পমহলের ভাবমূর্তির পক্ষে তা আদৌ খুব ভাল বিজ্ঞাপন হবে কি?
গত বাজেটে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ঘোষণা করেছিলেন, দেশের পাঁচ মেট্রো শহরে তৈরি হবে এলটিইউ। যে-সব সংস্থার উৎপাদন শুল্ক, পরিষেবা কর, আগাম আয়কর জমা ইত্যাদি নির্দিষ্ট অঙ্কের উপর, এখানে একই সঙ্গে প্রায় সব ধরনের কর জমা দেওয়ার সুযোগ পাবে তারা। পাবে উন্নততর পরিষেবা।
পার্থসারথিবাবু জানান, এই পরিষেবা দিতে কেন্দ্রকে যে-খরচ করতে হবে, তাতে অন্তত ১৫টি সংস্থা আগ্রহ দেখালে, তবেই তা চালু করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই এলটিইউ চালু হয়েছে বেঙ্গালুরু, মুম্বই, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে মাত্র ৩-৬টি সংস্থা। ফলে পরিষেবা চালু করা যায়নি। তেমন লাভ হয়নি শিল্পকে এ বিষয়ে সজাগ করার চেষ্টা করেও। তিনি বলেন, “অনেকে হয়তো ভাবছেন, সব কর একসঙ্গে জমা দিলে ঝামেলা হতে পারে। কিন্তু আলাদা ভাবে দিলেও তা জমা হয় কিন্তু একই খাতায়।”
|
বন্ধ হতে চলেছে করাচির শেরাটন হোটেল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ৩১ ডিসেম্বরের পরই বন্ধ করা হবে করাচির অভিজাত এই হোটেলটি। হোটেল ব্যবসায়ীদের মতে, বেশ ক’বছর ধরে জঙ্গি হামলার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ানোয় শহরের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। বিদেশি অতিথিদের আসাও কমেছে পাল্লা দিয়ে। মুনাফার অঙ্কে টান পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। |