রোগীর মৃত্যু, ভাঙচুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মৌমাছির কামড়ে ভর্তি হতে হয়েছিল নার্সিংহোমে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। অথচ সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে পড়ে গিয়ে ঘাড়ে চোট পেয়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। আর ওই রোগীর আচমকা মৃত্যুর জেরে বেলেঘাটার নার্সিংহোমটিতে ভাঙচুর চালাল তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ। পুলিশ সূত্রের খবর, এক ঝাঁক মৌমাছি হুল ফোটানোয় রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুনীলকুমার বেরা চৌধুরী (৪৯) নামে ওই ব্যক্তি। তার পরেই রবিবার থেকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন নারকেলডাঙা মেন রোডের বাসিন্দা সুনীলবাবু। বৃহস্পতিবার নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফেরার কথা তাঁর। সেই মতো তাঁকে হুইলচেয়ারে করে সিঁড়ি দিয়ে নামানো হচ্ছিল। অভিযোগ, তখনই পড়ে গিয়ে ঘাড়ে চোট পান সুনীলবাবু। সুনীলবাবুর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল না। অথচ বেলা ১২টা নাগাদ হঠাৎই হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, তিনি মারা গিয়েছেন। পুলিশ জানায়, আচমকা মৃত্যুর খবর জানার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের লোকেরা। ১৫-২০ জন আত্মীয় বিকেলে ওই নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান। তবে রোগীর পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি নার্সিংহোম-কর্তৃপক্ষ।
|
ব্যথা সারাতে পৃথক কেন্দ্র |
উৎস যা-ই হোক না কেন, ব্যথা কাবু করে সকলকেই। এ বার ব্যথার চিকিৎসার জন্য পৃথক একটি কেন্দ্র চালু হল শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এ দিন চালু হল পেন মেডিসিন-এর ফেলোশিপ পাঠ্যক্রমও। স্নাতকোত্তর স্তরের ১০ জন চিকিৎসক এই ফেলোশিপ করবেন। স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দোপাধ্যায় জানান, ইএসআই হাসপাতালের ধাঁচে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও এমন চিকিৎসা চালু করতে চান তাঁরা। কোর্স ডিরেক্টর সুব্রত গোস্বামী জানান, শুধু চিকিৎসকদের নয়। পরবর্তী স্তরে নার্স ও টেকনিশিয়ানদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। |