আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলার পড়ুয়াদের সাফল্য চেয়ে শিক্ষা কমিশন গড়ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০২০ এবং ২০৩০ সালকে নজরে রেখে দু’টি পরিকল্পনা তৈরি করবে ওই কমিশন। মমতা বলেন, “চার-পাঁচ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নিয়ে এই কমিশন গড়া হচ্ছে। বাংলার ছেলেমেয়েরা কী ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারে, এই কমিশন তার সুপারিশ করবে।” মুখ্যসচিব ওই কমিশনের খসড়া তৈরি করছেন বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। পুথিগত বিদ্যা ছাড়াও নাচ, গান, আঁকা, খেলাধুলো ইত্যাদি ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দেন পাঠ্যক্রমের ভার কমিয়ে চিন্তামুক্ত পড়াশোনার পরিবেশ তৈরির উপরে। একই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সেই সঙ্গে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা শিক্ষার গুণমান বজায় রাখার দিকেও নজর রাখছি।” এ দিন ১০০ জন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন সম্মান দেওয়া হয়। দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
|
পুলিশি হেফাজতেও যে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের, বৃহস্পতিবার তা মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে যে-মামলা হয়েছে, তার শুনানিতে এ দিন এ কথা বলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করেছেন সুদীপ্তের বাবা প্রণব গুপ্ত। সরকারি আইনজীবী জানান, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তদন্ত শেষ করে জানিয়েছে, ওই ছাত্রনেতার মৃত্যু হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। সুদীপ্তের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশও করেছে কমিশন। সরকার সেই সুপারিশ বিবেচনা করছে। তাই এই মামলার আর কোনও যৌক্তিকতা নেই। সরকারের যুক্তি খারিজ করে বিচারপতি বলেন, মামলা চলবে। তাঁর মন্তব্য, “মনে রাখতে হবে, পুলিশি হেফাজতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি হেফাজতেও সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।”
|
পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে লোকসভায় সওয়াল-জবাব চলল কেন্দ্র-রাজ্যের। আজ লোকসভায় অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন পশ্চিমবঙ্গকে আগের তুলনায় ১৩২ শতাংশ আর্থিক সাহায্য বাড়িয়েছে। তা ছাড়া ‘সেন্ট্রাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর স্টেট প্ল্যান’-এর অধীনে রাজ্যকে যে সাহায্য করা হয়েছে, তা ২০১০-’১১ অর্থবর্ষের চেয়ে ২০১১-’১২-তে ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। সুতরাং কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে যথেষ্ট সাহায্যই করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গ এবং আরও কিছু ঋণগ্রস্ত রাজ্যের কথা মাথায় রেখেই চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টার্মস অব রেফারেন্স তৈরি হয়েছে।” তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য মনে করছে এগুলি নিছকই সংখ্যাতত্ত্ব। সৌগতবাবুর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন সরকারের নেওয়া বিপুল ঋণের বোঝা এই সরকারের কাঁধে চেপেছে। সেই ঋণের পরিমাণ ২০০৩ কোটি টাকা। প্রতি বছর সুদ এবং আসল সমেত আমাদের ফেরত দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। আমরা বলে চলেছি যে, আগামী তিন বছর এই ঋণের সুদ মকুব করুক কেন্দ্র।”
|
জেলা ধরে ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের কাজের পর্যালোচনা করতে ফের সফরে বেরোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্যায়ে ১০, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর তিনি যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় যাবেন বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ওই বৈঠক হওয়ার কথা বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৈলানে এবং হাওড়ায় শরৎ সদনে। মহাকরণ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের ওসি, বিডিও স্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের ডাকা হচ্ছে। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য, অর্থ, পঞ্চায়েত, শিক্ষা, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীরাও। মুখ্যসচিব ছাড়াও থাকবেন রাজ্যের ২১টি দফতরের সচিবেরা।
|
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-তে অন্তর্দ্বন্দ্ব অব্যাহত। বৃহস্পতিবার নব মহাকরণে আইএনটিটিইউসি-র নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নাম না করে আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনকে আক্রমণ করেন। বলেন, “চটকলের আসন্ন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাকা হয়েছে সরকারি দলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রীকে। নিয়ম অনুযায়ী এটা করা যায় না।” তাঁর অনুগামীরা সরাসরিই ‘দোলা সেন দূর হঠো’ স্লোগান দেন। দোলার বক্তব্য, “নব মহাকরণে এ রকম বিক্ষোভের খবর জানি না।” |