পুরভোটের জেরে ছেদ শিক্ষক দিবস পালনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
ক্ষমতায় নেই পুরবোর্ড। তাই শিক্ষক দিবস পালনে ছেদ পড়ল এ বার। ২০০৪ সাল থেকে দুবরাজপুর পুরসভার উদ্যোগে টানা নয় বছর ধরে শিক্ষক দিবস পালন করে আসছিল ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বোর্ড। কিন্তু গত ২৩ জুলাই পুর ভোটের আগে এই বোর্ডের কার্যকালের মেয়াদ ফুরনোয় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে ছেদ পড়ল।
বোর্ড না থাকলে কী অনুষ্ঠান করা যেত না? পুর-এলাকার স্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আক্ষেপ থেকে গেল। ২০০৩ সালের পর থেকেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় থেকেছে কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড। প্রথমবার না হলেও ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয় বছর থেকেই শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠানের পেছেনে পীযূষবাবুদের যুক্তি ছিল, “সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনটিতে তাঁর আদর্শ এবং ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক নতুন করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার সামাজিক দায়বোধ থেকেই ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হত। ২০০৮ সালে পুরনির্বাচন ও বোর্ড গঠন জুলাইয়ের মধ্যেই সম্পন্ন হওয়ায় সমস্যা হয়নি অনুষ্ঠানটি চালাতে।” প্রতিবারই অনুষ্ঠানটি হত পুরসভা নির্মিত লোকমঞ্চে। সেখানে সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মানপত্র, সম্বর্ধনা জানানো হত। গত নয় বছরে সেই তালিকায় রয়েছেন শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বহু ছাত্র-ছাত্রী। এ বার সেই সুযোগ পাওয়া গেল না। এ জন্য পুরভোট পিছিয়ে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে (বর্তমানে তিনি বদল করে তৃণমূলে)। তিনি বলেন, “খারাপ লাগছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁদের বলেছি ক্ষমতায় এলে শিক্ষক দিবস এ বার পালন না করতে পারলেও, তাঁদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করব।” |