শ্যালো পাম্পের কুয়োয় নেমে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কালেখাঁতলা পঞ্চায়েতের ভিতপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রত্নেশ্বর দাস (৪২) ও বলরাম দাস (৩৭)। বাড়ি ভিতপুর লাগোয়া সরডাঙা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামে এক ব্যক্তির জমিতে ভাগচাষ করতেন রত্নেশ্বর ও বলরাম। সেই জমিতে কুড়ি ফুট গভীর কুয়োর মধ্যে শ্যালো যন্ত্রটি রয়েছে। চাষে জলের দরকার হলে সেই যন্ত্র চালিয়ে জল তোলা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি জলের প্রয়োজন পড়লে ওই দুই ভাই ঠিক করেন, শ্যালোর গর্তের আগাছা পরিষ্কার করা হবে। স্থানীয় কার্তিক দাস জানান, বর্ষায় পলিথিন দিয়ে কুয়োর মুখটি ঢাকা ছিল। বলরাম প্রথমে নীচে নামেন। অনেক ক্ষণ তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে রত্নেশ্বর নামেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু ক্ষণ পরে দু’জনই উঠে আসছে না দেখে স্থানীয় যুবক মুসুরি হেমব্রম নীচে নামেন। তিনিও উঠছেন না দেখে কপিকলের মাধ্যমে দড়ি নামিয়ে তিন জনকে তোলা হয়। তাঁদের নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠানো হলে রত্নেশ্বর ও বলরামকে মৃত বলে জানানো হয়। মুসুরিকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, গর্তে বিষাক্ত গ্যাসেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মহকুমা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, “পরিত্যক্ত জায়গায় মুখ বন্ধ কুয়োয় নানা বিষাক্ত গ্যাস থাকার সম্ভাবনা থাকে।” খবর পেয়ে এ দিন এলাকায় যান পূর্বস্থলীর (উত্তর) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, কী ভাবে এমন ঘটন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। |