বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হয়েছে হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনি থেকে। রবিবার রাতে বন্যপ্রান তিন বিভাগের নীলপাড়া রেঞ্জ লাগোয়া বায়ুসেনা ছাউনিতে চিতাবাঘটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে জখম চিতাবাঘটিকে মাদারিহাট পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। |
হাসিমারা সেনা ছাউনি থেকে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘ। — নিজস্ব চিত্র। |
বন্যপ্রাণ তিন বিভাগের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক শ্বেতা রাই বলেন, “সোমবার রাতে বায়ুসেনার ছাউনিতে একটি ট্রান্সফরমারে বসতে গিয়ে চিতাবাঘটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বলে জানা গিয়েছে। রাত ৮টা নাগাদ খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়েও জখম চিতাবাঘটিকে খুঁজে পায়নি। সোমবার সকালে সেটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।” এ দিন সকালে দুটি কুনকি হাতি নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে খুঁজে জখম চিতাবাঘটিকে বনকর্মীরা দেখতে পান। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটি উদ্ধার করা হয়। বনকর্মীরা জানান, চিতাবাঘটির ডান পায়ে সাতটি সেলাই পড়েছে। মাথায় আঘাত রয়েছে।
|
সাপে কেটেছিল মেয়েটিকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে মেয়েকে ঝাড়ফুঁক করতে শুরু করলেন পেশায় ওঝা বাবা। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল কিশোরীর। রবিবার রাতে বাদুড়িয়ার পিঙ্গলেশ্বর গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম কৈলাসী মণ্ডল (১৩)। সে স্থানীয় পঞ্চি মামুদপুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ কৈলাসীকে সাপে কামড়ায়। বাবা নবদ্বীপ মণ্ডল হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করতে শুরু করেন। দু’ঘণ্টা পরে গুণিন ডাকা হয়। তাতেও কিছুটা সময় যায়। এর পরে মেয়েকে নেতিয়ে পড়তে দেখে কলকাতার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন মৃতার পরিবার। ততক্ষণে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় মেয়েটির স্কুলের শিক্ষক শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো কৈলাসীকে বাঁচানো সম্ভব হত।”
|
গাইঘাটার তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্ত থেকে এমনই ৯৫২টি কচ্ছপ উদ্ধার করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বন দফতর সূত্রে খবর, স্টার প্রজাতির এই কচ্ছপগুলির ওজন ২০-২৫০ গ্রামের মধ্যে। মোট বাজারদর আনুমানিক ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। রবিবার সকালে তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্তে দু’টি বস্তায় ওই কচ্ছপ পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার পরে কচ্ছপগুলিকে সোমবার নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের ডিয়ার পার্কের রেসকিউ সেন্টারে। পাচারকারীরা অবশ্য পলাতক। |