স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। সোমবার হাওড়া ফাস্ট ট্র্যাক (৩) কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক নির্ভান কেশং এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম শেখ মোরসেলিন। রায় ঘোষণার সময় বিচারক জানিয়েছেন, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে ওই আসামীকে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ গ্রামে। ওই দিন স্ত্রী নমিতা সাঁতরাকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারে শেখ মোরসেলিন। পেশায় জরির ওস্তাগর মোরসেলিনের বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ার রহিমপুরে। ২০০৬ সাল নাগাদ হাওড়ার জয়পুরের নারিটের বাসিন্দা নমিতাকে বিয়ে করেছিল সে। এটি ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। স্ত্রীকে নিয়ে ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ গ্রামে বসবাস করতে শুরু করে মোরসেলিন। খুনের পরে নমিতার দাদা বাবলু সাঁতরার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোরসেলিনকে গ্রেফতার করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নমিতাকে খুন করে সে আবার প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে যেতে চাইছিল।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর ও গোঘাট |
রাস্তায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জয়পুরের চকজনার্দন গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম তরুণ মান্না (৩৯)। বাড়ি ওই এলাকায়। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে চকজনার্দন গ্রাম থেকে অমরাগড়ি বকুলতলার দিকে যাচ্ছিলেন তরুণবাবু। সে সময়ে বিদ্যু্যতের তার আচমকাই তাঁর সাইকেলের উপরে ছিঁড়ে পড়ে। তরুণবাবু ছিটকে পড়েন পাশের নয়ানজুলিতে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের রাস্তার ইলেকট্রিক তারগুলি মেরামত হয় না। অত্যধিক বৃষ্টিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অমরাগড়ি বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিজামুল গনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত হবে। গাফিলতি প্রমাণ হলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে।” অন্য একটি ঘটনায় শনিবার রাতে গোঘাটের দেবখণ্ড গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রামদুলাল চক্রবর্তী (৫৩)। বাড়িতে টুলু পাম্প চালাতে গিযে ছেঁড়া তারের ছোঁয়া লেগে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রবিবার বিকেলে পুড়শুড়ার ভুঁয়েরা গ্রামে দলের বিজয় মিছিল থেকে দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক কর্মীর বাড়িতে ঢুকে মারধোরের অভিযোগ উঠল। লক্ষ্মীকান্ত পোড়েল নামে জখম তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুড়শুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি জয়দেব জানা বলেন, “দলের গোষ্ঠীবিবাদ দ্রুত মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” অন্য দিকে, গোঘাটেও তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরে মারপিট জারি আছে। শনিবার রাতে কুমারগঞ্জ অঞ্চলের বেলুন গ্রামের দিঘিপাড়ায় গণেশ বৈরাগ্য নামে এক তৃণমূল সমর্থককে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। স্থানীয় ভাবে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। আহতের অভিযোগ, “আমাদের অঞ্চলে দলের একাধিক নেতা হয়ে যাচ্ছে। আমরা, যাঁরা দলের পুরনো নেতা চঞ্চল রায়ের অনুগামী, তাঁদের এক ভুঁইফোঁড় নেতা মোহন মণ্ডলের লোক পেটাচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ করলে অভিযোগ তুলতে চাপ দিচ্ছে।” মোহনবাবুর বক্তব্য, “চঞ্চলের পাশ থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই মিথ্যা অভিযোগ সাজাচ্ছে। চঞ্চলবাবুর বক্তব্য, “দলে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে অশান্তি হচ্ছে।”
|
জয়ী তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
ডোমজুড়ের উত্তর ঝাঁপড়দহ সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সব ক’টি আসনে জয়ী তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। স্কুলটি আগে গাবতলা শ্রীশিক্ষানিকেতনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। গত বছর আলাদা হওয়ার পরে এ বারই প্রথম ভোট হল।
|
গ্যাসে অসুস্থ চার ঠিকাকর্মী |
জলাধারের পাম্প পরিস্কার করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন চার ঠিকাকর্মী। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ত্রিবেণী টিস্যু কারখানায়। পুলিশ জানায়, দুই ঠিকা শ্রমিক ১৫ ফুট গভীর ওই জলাধারে নেমে মিথেন গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে দুই সহকর্মী উদ্ধারে নামলে তাঁদেরও একই পরিণতি হয়। দমকলকর্মীরা অসুস্থ শ্রমিকদের উদ্ধার করেন। তিন জনকে কলকাতার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
|
দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতা দিল কোন্নগরের নবগ্রামে সুগত ভৌমিক স্মৃতি সংরক্ষণ সমিতি। গত ২৫ অগস্ট নবগ্রাম বিদ্যাপীঠের সম্মেলন কক্ষে সমিতির বার্ষিক অনুষ্ঠানে ৬৮ জন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী এবং একটি অনাথ আশ্রমের শিশুদের হাতে বই, খাতা, বৃত্তি এবং এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ‘সাফল্যের অর্থ শুধুই কি অর্থ’ এই বিষয়ক আলোচনাচক্র হয়। বক্তব্য রাখেন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারপার্সন ভাস্কর গুপ্ত এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম বসু। |