পুনর্বহালের দাবিতে আধিকারিককে ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
নৈশপ্রহরী নিয়োগে নতুন এজেন্সি দায়িত্ব পেয়েছে। তারা বহু পুরনো নৈশপ্রহরীকে ছাঁটাই করেছে। সোমবার তারই প্রতিবাদে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আধিকারিককে ঘেরাও করল তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। পুরনো কর্মীদের পুর্নবহালের দাবিতে দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁরা সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের নির্বাহী আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করেন। এই অফিসের অধীনে রামপুরহাট, নলহাটি, মল্লারপুর, মহম্মদবাজার শাখা অফিসগুলিতে ২৫ জন নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। সম্প্রতি নতুন এজেন্সির মাধ্যমে ওই সমস্ত অফিসগুলিতে নতুন নৈশপ্রহরী নিয়োগ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি নবগৌরাঙ্গ দাসের অভিযোগ, “নতুন এজেন্সি দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসা কর্মীদের ছাঁটাই করে দিয়েছে। কিন্তু এর আগেও একাধিক বার নৈশপ্রহরী নিয়োগে এজেন্সির হাত বদল হলেও, ওই সমস্ত নৈশপ্রহরীরা কোনও দিনই তাঁদের কাজ হারাননি।” এ দিকে সদ্য কাজ হারানো নৈশপ্রহরীরা বলেন, “আমাদের এই কাজের উপর নির্ভর করেই সংসার চলত। নতুন এজেন্সির সিদ্ধান্তে এখন পথে বসার মুখে। রুটি রুজির প্রশ্নে নতুন নিযুক্ত কর্মীদের সঙ্গে সংঘাত বাধলে, তার দায়িত্ব সেচ দপ্তরের কর্তাদের উপর বর্তাবে” এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকিও তাঁরা দিয়েছেন। যদিও ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের নির্বাহী আধিকারিক তরুণ রায়চৌধুরীর দাবি, “সরকারি নিয়ম নীতি মেনে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সঠিক পদ্ধতিতে নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য নতুন এজেন্সি দায়িত্ব পেয়েছে। তারা কাদের রাখবেন, তা তাদের বিষয়। ওই সংস্থা এ নিয়ে নতুন আলোচনাতেও যেতে রাজি নয়।” |
ধৃতের জেল হাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী চক্রধর মণ্ডলের(৬৩) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পড়শি প্রশান্ত মিশ্রকে সোমবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাকি তিন অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রবিবার সকালে সিউড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছিল। একটি পাঁচিলে জানালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চক্রধর মণ্ডলের সঙ্গে পড়শি প্রশান্ত মিশ্রের বিবাদ দীর্ঘদিনের। রবিবার তাই নিয়ে বচসা শুরু হয়। ওই প্রাক্তন পুলিশকর্মী দীর্ঘদিন হৃদরোগে ভুগছিলেন। গণ্ডগোলের সময় তিনি কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, চক্রধরবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত, তা পড়শি প্রশান্ত মিশ্র ও তাঁর ভাই প্রদীপ মিশ্ররা জানতেন। সব জেনেও তাঁরা তাঁকে হেনস্থা করেন। তাঁরা ধাক্কা মারেন। তার জেরেই এই ঘটনা। |
পোস্তর খোল-সহ ধৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
১২ বস্তা পোস্তর খোল, ট্রাক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে মহম্মদবাজার বাসস্টপ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রামপুরহাটের দিকে যেতে পেট্রোল পাম্পের কাছে তাদের ধরা হয়। ধৃত ট্রাক চালক কায়ুম শেখ ও শেখ কদম আলিকে সোমবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে, বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চালকের বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জে। অপর জনের বাড়ি দুবরাজপুরের খোঁজমামুদপুর গ্রামে। পোস্তর খোল কালিয়াচক থেকেই আসছিল। দুবরাজপুরের খোঁজমামুদপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। |