বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টুকরো খবর

জীবন ধরার কল
‘অন’ করার সুইচ রয়েছে, কিন্তু ‘অফ’ বোতাম নেই। এমনই এক ক্যামেরা বানালেন ৩৮ বছরের সুইডিশ তরুণ মার্টিন কেলস্ট্রোয়েম। উদ্দেশ্য জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে ফ্রেমবন্দি করে রাখবে তাঁর ক্যামেরা।
মার্টিন কেলস্ট্রোয়েম
“কী জানি, কোন সময়টা পরে দুর্লভ হয়ে ওঠে।” মার্টিনের বক্তব্য, ঠিক এই কারণেই তাঁর ক্যামেরা প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর ছবি তুলে রাখবে। শুধু জামায় ছোট্ট ক্যামেরাটা লাগিয়ে নিলেই হল। কিংবা গলায় নেকলেসের মতো পরে নেওয়াও যেতে পারে। এমন একটা ক্যামেরা বানানোর পরিকল্পনা মাথায় খেলে বেশ কয়েক বছর আগে। তখন সবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন মার্টিন। আঠারোয় পা দিতে না দিতেই ছেলে বাবা-মা দু’জনকেই হারাল ক্যানসারে। সময়টা থেমে গিয়েছিল তখনই। জীবনটা শুধু চলছিল। পরে বন্ধুদের নিয়ে ‘মেমোটো’ নামে এক সংস্থা তৈরি করেন। আর তার পর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় তাঁর ইচ্ছাপূরণ। মার্টিন বলেন, “সাধারণত লোকে উৎসব-অনুষ্ঠানে
কণ্ঠহার ক্যামেরা
সেজেগুজে গিয়ে ছবি তোলে। কিন্তু কোন মুহূর্তটা পরে দামি হয়ে যায়, কে বলতে পারে!” তাঁর ক্যামেরা সেই অজানা মূলবান সময়গুলোকে ধরে রাখবে। আরও একটা গুরুত্ব আছে আই-পডের মতো দেখতে চৌকা ক্যামেরাটার। দুর্ঘটনা কিংবা কোনও অপরাধে লুকোনো ক্যামেরার ভূমিকা নেবে এটি। প্রযুক্তি-প্রেমী লোকেদের জন্য আরও একটি সুখবর। নিজেকে দিয়ে ব্যাপারটা বোঝালেন ৩৮ বছর বয়সী মার্টিন। বহু দিন চেষ্টা করে ছিলেন, ডায়েরি লেখার। কিন্তু দু’লাইন লেখার পরেই ক্লান্ত লাগত। তাঁর ক্যামেরাটা এ বার সেই কাজটাও করে দেবে। ৩০ সেকেন্ড অন্তর তোলা ছবিগুলো দিনক্ষণ-সময় অনুযায়ী পর পর সাজিয়ে ফেলবে ক্যামেরাই। ছবিতে বাধা পড়বে দিনশেষের ডায়েরি।

খড়্গপুরে বিজ্ঞান মেলা
দু’দিন ব্যাপী জেলা যুব কল্যাণ দফতর আয়োজিত বিজ্ঞান সেমিনার ও মেলা শেষ হল শনিবার। সেমিনার, মডেল ও পোস্টার প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে মেদিনীপুরের মোহনানন্দ বিদ্যাপীঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিধায়ক তথা এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। সেমিনারে ৪৬ জনের মধ্যে সেরা হয়েছে খড়্গপুর খেলাড় গজেন্দ্র হাইস্কুলের অভিজিৎ জানা। মডেলে মাধ্যমিক স্তরে প্রথম কেশিয়াড়ির সাঁতরা লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাইস্কুলের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও নিবেদিতা ভট্টাচার্য, দ্বিতীয় মেদিনীপুর অলিগঞ্জ ঋষি রাজনারায়ণ স্কুলের শুভদ্বীপা ঘোষ ও প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায়। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম হয় খড়গপুরের সিলভার জুবিলি স্কুলের শান্তনু রাউত ও নিলাঞ্জন চন্দ্র। দ্বিতীয় মোহনানন্দ বিদ্যাপীঠের সৌমিক সরকার ও অভিজিৎ মণ্ডল। কলেজস্তরে বিজয়ী মেদিনীপুর কলেজ। পোস্টার প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল ৪২ জন পড়ুয়া। মাধ্যমিক স্তরে প্রথম হয় সবংয়ের আদাশিমলা দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্র মৃন্ময় দাস ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম হয় খড়্গপুর সিলভার জুবিলি স্কুলের তৃষিতা বেরা। তবে পোস্টার প্রতিযোগিতায় কলেজ স্তরে কেউ যোগ দেয়নি। শনিবার ছিল পুরস্কার বিতরণ। জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক সত্যব্রত হালদার বলেন, “মডেল প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং অন্য প্রতিযোগিতায় শুধু প্রথম স্থানাধিকারীরা রাজ্যস্তরে যাবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.