গরু পাচারকারী সন্দেহে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে রাখেন মালদহের হবিবপুর থানার লাঙলডাঙা এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের একটি জিপেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালের ঘটনা। শুক্রবার রাতে গ্রামের বাসিন্দারা পাচারকারী সন্দেহে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে মারধর করে বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি রাতেই পাচারকারীরা ধান খেতের উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যায়। শুক্রবার রাতেও দুই বাংলাদেশি নাগরিক গ্রামে ঢুকে গরু টেনে নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রায় চারশ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। রাতভর আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিককে মারধরের পরে সকালে পথ অবরোধ শুরু করে বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে খবর দেওয়া হলেও পুলিশ গ্রামে এসে পৌঁছোয়নি। সকালে অবরোধের সময় পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। আটক দুই বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বিধায়কের কাছে ছেলের ছাত্রবৃত্তির আবেদনপত্রে সই করাতে গিয়ে রাস্তায় হাতির হামলায় মৃত্যু হল বাবার। শনিবার সকালে বাঁকুড়ার বড়জ়োড়া থানার ডাকাইসিনির জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটে। মৃত ফটিক বাউরির (৪৫) বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে কাল্লালালবাজার গ্রামে। পেশায় দিনমজুর ফটিকের স্ত্রী ও পাঁচ ছেলেমেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে বিনয় স্থানীয় ফুলবেড়িয়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার ছাত্রবৃত্তির আবেদনপত্র নিয়ে ফটিকবাবু খাঁড়ারি গ্রামে স্থানীয় বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা জানান, বাড়ি ফেরার সময় তিনি দলমা থেকে সদ্য ঢোকা হাতির পালের সামনে পড়ে যান। সাইকেল ফেলে পালাতে গেলে একটি হাতি তাঁকে শুঁড়ে আছড়ে পিষে মারে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “দলমার প্রায় ১০০টি হাতি ওই এলাকার জঙ্গলে রয়েছে। মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |