টুকরো খবর
চিকিৎসককে ‘নিগ্রহ’
শিশু বিভাগের এক চিকিৎসককে ওয়ার্ডের ভেতরেই নিগ্রহের অভিযোগ উঠল রোগীর আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন সকালে সঙ্কটজনক অবস্থায় শিশু বিভাগে দু’টি শিশু ভর্তি হয়। সন্ধ্যার পরে নিজের ভিজিটিং আওয়ারে শিশু বিভাগের চিকিৎসক পিনাকীপ্রসাদ দে তাদের দেখতে আসেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি ওয়ার্ডে ঢুকতেই দেখেন ভেতরে প্রচুর বাইরের লোক ঢুকে আছেন। পিনাকীবাবুর দাবি, “আমি তাঁদের ওয়ার্ডের বাইরে যেতে বলি। তখনই গোলমাল শুরু হয়। এক জন এসে রুক্ষ ভাবে বলেন, ‘যাব না আপনি কী করবেন!’ ওই ভিড়ে থাকা এক মহিলা আবার দাবি করতে থাকেন আমি নাকি মদ খেয়ে ডিউটিতে এসেছি!” ওই চিকিৎসক এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসক বলেন, “ওই পরিস্থিতিতে আমি একা হয়ে পড়েছিলাম। নিজেকে বাঁচাতে একজনের গালে চড় মারি। তাতে যদি অপরাধ করে থাকি, তাহলে করেছি।” এ দিকে যাঁদের দিকে অভিযোগ ঘটনার পরে তাঁরা কেউই কথা বলতে চাননি। প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া এক শিশুর মা জাকেরিয়া বিবি বলেন, “ওখানে ঠিক কী হয়েছিল, আমি জানি না।” পরপর এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “এ ভাবে যদি একের পর এক চিকিৎসক, কর্মীদের হেনস্থা করা হতে থাকলে হাসপাতালে কাজের পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে যাবে। রোগীর পরিজনদের এ নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। নিরাপত্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব।”

ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ অশোকের
শিলিগুড়ি শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শহরের পাশাপাশি মহকুমার গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়েছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অশোকবাবুর অভিযোগ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ডেঙ্গি প্রতিরোধে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। কোথাও লিফলেট বিলি, হোর্ডিং টাঙিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির পক্ষে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ অভিযানে নামা উচিত। শহরে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শীঘ্রই স্মারকলিপি পেশ এবং মিছিল করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হবে। অশোকববুর দাবি, ডেঙ্গির মোকাবিলায় শহরে ‘হেমাটোলজিস্ট’ দরকার। না হলে যাঁরা গুরুতর অসুস্থ তাদের সুস্থ করা মুশকিল হবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরপে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই পুরসভার কয়েকটি জায়গায় শিবির করে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও ডেঙ্গি রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পুর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এত ডেঙ্গি কেন, মেয়রকে হেনস্থা শিলিগুড়িতে

ডেঙ্গি মোকাবিলায় রক্ত পরীক্ষার পুরসভার শিবির শিলিগুড়ির
লিম্বু বস্তিতে। শুক্রবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার মেয়রকে ‘ডেঙ্গি রানি’, ‘রাক্ষসী’, ‘অকর্মণ্য’ বলে স্লোগান দিয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। সভাকক্ষের দরজায় লাথি মেরে, তা টেনে খুলে রেখে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। স্বাস্থ্য দফতর থেকে দাবি করা হয়েছে শিলিগুড়ি শহর ও আশেপাশের এলাকা নিয়ে ১৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। যদিও বেসরকারি সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২০ জন। এই পরিস্থিতিতে এই দিন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা বেলা ১২টা নাগাদ পুরসভায় মেয়রের ঘরের সামনে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা, বরো চেয়ারম্যান-সহ মোট ১১ জন। কিছুক্ষণ পর বাম কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য মেয়র পুর ভবনের দোতলায় তাঁর দফতর থেকে বেরিয়ে ঘুরপথে সভাকক্ষে যেতে গেলে বিক্ষোভকারী কাউন্সিলররা ‘মেয়র পালাচ্ছে’ বলে তাড়া করেন। শহরের এই পরিস্থিতিতে যেখানে সকলে মিলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত, সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

চিকিৎসকদের কর্মশালা

—নিজস্ব চিত্র
ভারত-ভূটান ও ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকার স্বশস্ত্র সীমা সুরক্ষা বলের চিকিৎসকদের এক দিনের একটি কর্মশালা হয়ে গেল। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ২৫ জন বেশি চিকিৎসক অংশ নিয়েছিলেন। কর্মশালার উদ্বোধন করেন চিকিৎসক সুরেন্দ্র পাল। এতে প্রহরীদের স্বাস্থ্য কী ভাবে আরও ভাল রাখা যায়, তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সাপে-কাটা, অগ্নিদগ্ধ রোগীদের সঙ্কটজনক অবস্থায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরানো, আকাশ পথে সরাতে গেলে কী করতে হবে সে সব বিষয় তো ছিলই, সঙ্গে ছিল বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রাম্ত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনাও। শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ার আইজি কুলদীপ সিংহ বেশি করে চিকিৎসকদের পঠনপাঠনে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.