|
|
|
|
পশ্চিমে সভাধিপতি নির্বাচন ১০ সেপ্টেম্বর নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অবশেষে দিন স্থির হল। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হবে। ওই দিন জেলা পরিষদের ৬৭ জন সদস্যের শপথগ্রহণ হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “১০ সেপ্টেম্বর সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হবে।” নতুন বোর্ড গঠন ঘিরে জেলা পরিষদের অন্দরে এখন সাজো সাজো রব। সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের ঘর সাফসুতরো করা হয়েছে। নতুন রং পড়ছে দেওয়ালে। আবাসন সংস্কারের কাজও চলছে।
গত ১৯ অগস্ট জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোয় প্রধান, উপ-প্রধান নির্বাচন হয়। শুক্রবার ছিল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি নির্বাচন। কবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হবেতা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। যদিও জানা ছিল, সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই এই নির্বাচন হবে। তবে, দিন চূড়ান্ত হচ্ছিল না। এ বার তা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ী সমিতি এবং কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। ৬৭টি আসনের মধ্যে ৬৪টিই এসেছে শাসক দলের দখলে। পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে যেখানে তৃণমূলের দখলে ছিল মাত্র ৩টি আসন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে ইতিমধ্যে উত্তরা সিংহের নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার কলকাতার টাউন হলে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত করেন তিনি। উত্তরাদেবী মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে রয়েছেন। সহ-সভাধিপতি হিসেবে সমায় মাণ্ডির নাম ঘোষণা করা হয়। সমায়বাবু জঙ্গলমহল এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বৈঠকে জেলা পরিষদের দলনেতা হিসেবে নির্মল ঘোষের নাম ঘোষণা করা হয়।
জেলা পরিষদের বাকি ৩টি আসনের মধ্যে ২টি পেয়েছে সিপিএম। ১টি কংগ্রেস। গোড়া থেকেই জেলা পরিষদের ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্টের হাতে। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও ৬২টি আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন ছিল ফ্রন্টের দখলে। এক সময়ে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন অধুনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। ১৯৭৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ১৯৯১ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অর্থাৎ, টানা প্রায় ১৫ বছর। এরপর একে একে সভাধিপতি পদের দায়িত্ব সামলেছেন হরেকৃষ্ণ সামন্ত, পুলিনবিহারী বাস্কে, অন্তরা ভট্টাচার্য। হরেকৃষ্ণবাবু এখন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। পুলিনবিহারীবাবুও তাই। অন্তরাদেবী সিপিএমের পিংলা জোনাল কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন। |
|
|
|
|
|