|
|
|
|
এখন আমি আর জিত্দা
শুভশ্রীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে চান না। চান না তিক্ততা। অল্প বয়সে এত সাফল্য
আসার
জন্যই নাকি তাঁর এত শত্রু।
মিলান-য়ের হোটেলের লবিতে
মাঝরাত্তিরে দেব
আড্ডা মারলেন
প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত-র সঙ্গে |
তখন প্রায় মধ্যরাত।
মিলান শহরটা ঘুমিয়ে পড়েছে। হোটেলের লবিতে বসে একজোড়া নারীপুরুষ। হাতে শ্যাম্পেনের গ্লাস। চুমুক দেওয়ার ফাঁকে মাঝে মাঝে শারীরিক উষ্ণতার আবেদনে সাড়া দিচ্ছিলেন তাঁরা। শার্সির বাইরে ঝমঝম বৃষ্টি। পাথরের রাস্তা চকচক করে উঠছে গাড়ির হেডলাইটের আলোয়।
মিলানে এই নিয়ে চার বার শ্যুটিং করলেন দেব। গত এক সপ্তাহ ধরে রোজ সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে রাজা চন্দর ‘রংবাজ’য়ের শ্যুটিংয়ের তোড়জোড় শুরু হত। কখনও ঊনত্রিশ তলা বিল্ডিংয়ের ছাতে, কখনও বা এক্সপো’র কমপ্লেক্সে। একটানা গানের শ্যুটিংয়ের মাঝে একটুআধটু ইয়ার্কি। হয়তো ইতালিয়ান কোঅর্ডিনেটরকে ইচ্ছে করে ভুল নামে ডাকলেন। নাম ইভানো। কিন্তু দেব তা পাল্টে করে দিলেন লেনোভো। আর তাই নিয়ে সুরিন্দর ফিল্মসের গোটা ইউনিটে সে কী হাসি!
এই হাসিঠাট্টা করতে করতেই ইতালির শ্যুটিং শিডিউল শেষ। তার পর একদিনের জন্য কলকাতাতে ফিরে আবার পাড়ি সাউথ আফ্রিকায়। সেখানে পনেরো কোটি টাকা বাজেটের ‘চাঁদের পাহাড়’ শ্যুটিংয়ের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। প্রায় এক মাস ওখানে শ্যুটিং করে পুজোর আগে ফিরবেন কলকাতায়।
“জানেন এটা আমার দ্বিতীয় সাক্ষাৎকার, যা আমি কোনও ভারতীয় সাংবাদিককে বিদেশে বসে দিচ্ছি। প্রথম দিয়েছিলাম ‘পত্রিকা’র জন্য আমেরিকাতে। আর এখন মিলানে বসে আপনার সঙ্গে কথা বলছি,” বললেন দেব।
|
|
কাচ বেয়ে নেমে আসা বৃষ্টিধারার দিকে তাকিয়ে বললেন, “একটা সময় স্বপ্ন দেখতাম এসি ট্রেনে কবে চাপতে পারব। তখন তো শুধুমাত্র স্লিপার ক্লাসে চাপতে পারতাম। তার পর ভাবতাম প্লেনে কবে চাপব। তার পর বিজনেস ক্লাসে কবে ট্র্যাভেল করব, সেটাও হল। আজ মিলান শহরে বসে বাংলা ছবির শ্যুটিং করতে এসে এ ভাবে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি। নিজের বোনকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছি। আগে কখনও আমার সেই জায়গাটা ছিল নাকি, যেখানে দাঁড়িয়ে আমি এটা করতে পারতাম?”
গলায় তখন হালকা নস্ট্যালজিয়ার ছোঁয়া। মনে পড়ে গেল সেই দিনটার কথা, যখন সঞ্জয় দত্তের বি এম ডব্লিউয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়ে সাঙ্ঘাতিক অপমানিত হয়েছিলেন। “তখন হয়তো চোদ্দো পনেরো বছর বয়স হবে। স্কুলে বন্ধুদের সামনে একটু ফুটানি করব বলে গাড়ির বনেটে হাত রেখে ছবি তুলতে গিয়েছি। হঠাৎ সঞ্জয় দত্তের ড্রাইভার এসে হাতে এক চড়। আমি তো ভেবেছিলাম ছবি তুলে বন্ধুদের সামনে একটু ফ্লন্ট করব। কিন্তু সেই ড্রাইভার তো রেগে লাল। বলেছিলেন দামি গাড়িতে স্ক্র্যাচ পড়ে যাবে। সেই থেকে আর কোনও দিন কোনও স্টারের সঙ্গে ফ্যান হিসেবে ছবি তুলিনি।”
আর ছোটবেলার মনের ওপর ঘষা খাওয়া অপমানের স্ক্র্যাচটা ভুলে যাননি দেব। স্টার হওয়ার পর নিজের জন্য কিনেছিলেন একটা সাদা বিএমডব্লিউ। আপনার গাড়িতে হাত দিয়ে এখন যদি কেউ ছবি তুলতে চায়? দেবের জবাব, “স্ক্র্যাচ পড়লে খারাপ লাগবে হয়তো। কিন্তু আমি অত বদার করি না। বিচলিত হই না।”
শুধু বিএমডব্লিউতে স্ক্র্যাচ পড়া নিয়ে বিচলিত হওয়া নয়, খ্যাতির বিড়ম্বনাও তো থাকে প্রচুর। কত রকমের কথা বলা হয় তাঁকে নিয়ে। তাতেও কি বিচলিত হন না দেব? “আরে বস্, সাকসেস এলে চাপ তো নিতেই হবে।” অনেকটা সেল্ফ হেল্প বইয়ের লাইনের মতোই উত্তর ছুড়ে দিলেন তিনি। বললেন কত রকমের অপবাদ দেওয়া হয় তাঁর নামে। দেব নাচতে পারে। কিন্তু অভিনয়? সেটা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। “আরে এই যে ছ’ বছর ধরে আমি এত হিট দিয়েছি, সেগুলো তো দর্শক দেখছে বলেই হচ্ছে। কিছুই যদি ঠিকমতো না পারতাম, তা হলে এত মানুষকে বিনোদন দিলাম কী করে আমি?” পালটা প্রশ্ন দেবের।
উচ্চারণ নিয়ে খুঁত ধরাটা গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। “সব তারকার উচ্চারণ কি সাঙ্ঘাতিক ভাল হয়? তাঁদের নিয়ে তো এত কথা হয় না। আমি আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা কোনও দিন লুকোইনি। কলকাতায় আসার আগে আমি বাংলা লিখতে, বলতে, বা পড়তে পারতাম না। আমার বাংলার টিউটর কে ছিল জানেন? আমার সঙ্গে সারা দিন যিনি থাকেন, সেই উত্তম। আমাকে বাংলা বলতে শিখিয়েছে। আমি যদি কোনও বই না পড়ে থাকি, যদি কোনও সিনেমা না দেখে থাকি, সেটা অনেস্টলি সবার সামনে বলে দিই। |
|
ডিপ্লোম্যাটিক হয়ে এড়িয়ে যাই না।
কত লোকে সেটা তো বলেই না। জানি কত মানুষ বসে আছে এটা দেখার
জন্য যে আমার কী কী খুঁত পাওয়া যাবে ‘চাঁদের পাহাড়’-এ। কিন্তু এ
নিয়ে আর অসুবিধে হয় না। এই
তো সেদিন এক জন বললেন, তিনি ‘চাঁদের পাহাড়’ বানালে আমাকে কাস্ট করতেন না। আমি ভাবলাম উনি কি একবারও ভেবে দেখেছেন যে উনি ‘চাঁদের পাহাড়’ বানালে আমি ওই ফিল্মে অভিনয় করতাম কি না। আজকাল যে যা পারে বলে যায়। আমি পাত্তা দিই না।”
আর ঠিক সে ভাবেই তিনি জিতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিয়ে গসিপকে উড়িয়ে দিতে চান। “একটা কথা মনে রাখবেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে এখন দু’জন তারকা। দু’জনে নিজের জায়গায় ভাল করছেন। জিৎদা বারো বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। ‘বস’ কত করেছে, ‘খোকা ৪২০’ কত করল এই সব হিসেব করে কি ইন্ডাস্ট্রির লাভ হবে? আমি তো অন্তত আমার ছ’টা ছবির নাম বলতে পারব, যেগুলো তিন কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। কিন্তু এই লড়ালড়ি করে তো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে। আমি চাই যে জিৎদার আরও ছবি হিট করুক। কারণ ইন্ডস্ট্রির অবস্থা এমনিতে ভাল নয়। আমাদের দু’জনের ছবি যদি ভাল ব্যবসা না করে, তা হলে টালিগঞ্জেরই ক্ষতি।”
এই যে সারাক্ষণ দেব এটা দেখেনি বা পড়েনি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা হয়, সেটা নিয়ে তাঁর বিশেষ মাথাব্যথা নেই। “এই নয় যে ছোটবেলায় বাড়িতে সারাক্ষণ কালচারের চর্চা হত। বাবা বম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাটারিং চালাতেন। আমাকে ডোনেশন দিয়ে পুণেতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠিয়েছিলেন। ফাইনাল ইয়ারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আবার পরীক্ষা দিতে বলা হয়। আমি আর পরীক্ষা দিতে চাইনি। চাকরি করব না বলেছিলাম। বাবার কাছে এক বছর সময় চেয়েছিলাম নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য।”
কলকাতাতে তো প্রথমে তাঁর পোর্টফোলিয়ো দেখে এক পরিচালক বলেছিলেন এই ‘গাম্বাট’কে কে নেবে? এত লম্বা যে, মুম্বই থেকে হিরোইন আনতে হবে ওর জন্যে। “সেখান থেকে মাত্র ছ’বছরের মধ্যে আমি এই জায়গাতে পৌঁছেছি। বিদেশে এসে ‘রংবাজ’য়ের সেটে আপনিও দেখলেন কী ভাবে লোকের ভালবাসা পাচ্ছি। বিদেশি প্রেস এসে ইন্টারভিউ নিচ্ছে। শুধু বাঙালি নয়, লোনাভলার মতো শহরে ছুটি কাটাতে গিয়ে দেখি ওখানকার মানুষ আমার ছবির কথা জানে। অবশ্য আমি এটাও জানি যে অল্প বয়সে এত সাফল্যের কারণেই আমার শত্রু হওয়াটা স্বাভাবিক। এটা বুঝতে অসুবিধা হবে না কেন এত নেগেটিভ কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায় আমার বিষয়ে। সাফল্যের সঙ্গে হয়তো নিঃসঙ্গতাটা ফ্রি আসে। কিন্তু ভেবে দেখেছি, সাফল্যের বিনিময়ে যদি একা হয়ে যেতে হয়, তা নিয়ে আমার কোনও অসুবিধা নেই।”
তিনি না হয় সাফল্যের সঙ্গে দুর্নাম কুড়োনোর সমীকরণটা বুঝতে পারেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের সবাই? “হ্যাঁ, প্রথম প্রথম অসুবিধা হত। হয়তো কারও ফোন ধরতে পারলাম না। সে রেগে গিয়ে বলল এখন বেশি দেমাক হয়ে গিয়েছে। কোনও অনুষ্ঠানে যেতে পারলাম না, লোকে ভাবল আমি এমনি অ্যাভয়েড করছি। আমার বেস্ট পলিসি হল কেউ যদি উলটোপালটা বলতে থাকে, একটা পয়েন্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভাবে ইগনোর করো। ইউ
ডোন্ট বার্ক ব্যাক অ্যাট অল বার্কিং ডগস। কাগজেও তো কত কী অপবাদ দেওয়া হল আমার নামে। মা-কে বলেছিলাম এক মাস কাগজ পড়া বন্ধ করে দিতে। আর আমাকে এক মাস সময় দিতে। আমি জানতাম তার
পর লোকেও সব কিছু ভুলে যাবে। আর তাই হল। সব সময় মনে
রাখতে হবে যে কাজটা ঠিকমতো করে যেতে হবে।”
মাঝখানে একটা সময়ে তো রোজ তাঁর নামে কাগজে কত কী লেখা হত! এককালের কাছের মানুষেরাও তাঁর নামে কত কী না বলেছেন। চরিত্র হননেরও শিকার হয়েছেন তিনি। কখনও কি এটা মনে হয়নি যে
হয়তো কেউ কেউ পাপেট হয়ে অন্য কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্যেই এই সব প্রচার করছেন? “চার দিকে তাকালে দেখবেন অনেকেই কিন্তু পাপেটের সন্ধানে থাকেন। সেটা বড় কথা নয়। আসল কথাটা হল আপনি জেনে বুঝে পাপেট হবেন কি না। যে লাভের আশায় আপনি সেটা করবেন তা কি বেশি দিন থাকবে? হ্যাঁ, এক একটা সময় এ সব দেখে আমি যে ভেঙে পড়িনি তা নয়। মনে হচ্ছে আমি যে ভাবে ভেবেছি বা যা যা করেছি, তার পরেও আমাকে এ সব শুনতে হল! একটার পর একটা হিরোইনের নাম নিয়ে কী না কী বলা হয়েছে। আর আমার যদি এই সবই করার ইচ্ছে থাকত, আউটডোর শ্যুটিংয়ে কি বোনকে নিয়ে আসতাম? একদিন
এই নিয়ে গভীর চিন্তা করছিলাম।
তখন আমার এক কাছের মানুষ
আমাকে বলেছিলেন, “তুমি রাজুর (আমার ডাকনাম) মতো করে ভেবো না। দেবের মতো করে ভাবো।”
এই দেব-এর মতো করে ভাবাটা ঠিক কী রকম? “খুব পরিশ্রম করো। দরকার পড়লে ঝুঁকি নাও যদি সেই কাজের উপর বিশ্বাস থাকে। আর সব থেকে বড় কথা নিজের ডেস্টিনির উপর ভরসা রাখো। সেটা তোমার থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এখন আমি শুধুমাত্র কাজ নিয়ে ফোকাসড। নিজে একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করি, আর তার পর ভাবি কী করে সেটাকে আরও বেটার করব। এই যে দেখছেন ‘রংবাজ’য়ে কালার প্যান্ট পরেছি। ঠিক ভাবে কেউ ক্যারি করতে পারলে এগুলো দারুণ ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হবে। ‘ও মধু’ গানটায় আমি জিন্সটা ফোল্ড করে নীচের দিকে একটা লাল প্যাচ ব্যবহার করে ডিজাইন করিয়েছি। এ সব নিয়ে আমি ভাবি। বুঝি যে ফিল্মে যা পরব, সেটাই হয়তো পুজোর ফ্যাশন হয়ে যাবে। আগে জানতাম না যে বাংলা ভাষাটা বিশ্বের অষ্টম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। তার মানে সেই ভাষার সিনেমা দেখার দর্শক আছে। রোমে এসে আরও মনে হল কী উপায় বের করে এই সব দর্শকের কাছে বাংলা ছবি পৌঁছে দেওয়া যাবে। মার্কেটটা না বাড়ালে বড় বাজেটের ছবির টাকা রিকভারি হবে কী করে? আজকে বুঝি যে যেখানে আমি এসে দাঁড়িয়েছি, সেখানে দেব শুধুমাত্র এক তারকার নাম নয়। দেব মানে দায়িত্ব।”
আর তাঁর নিজের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা? এই যে বাড়ির সবাই বলে যাচ্ছেন বিয়ের বয়স হল... “দু’-তিন বছরের মধ্যেই বিয়ে করব। আমার বাবা এখনও কাজ করেন। আমি দাঁড়িয়ে গিয়েছি।
আমি চাই আমার ছেলে বা মেয়েও যেন এস্টাব্লিশড্ হয়ে যায় আমি কাজ করতে করতে।” আর পাত্রী বাছাই? সে দায়িত্ব কি মায়ের ওপরেই দেবেন? “এটা এখন কী করে বলি বলুন তো? সম্পর্ক গড়ে, ভাঙে। আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। সম্পর্ক আগেও আমার ভেঙেছিল মুম্বইতে থাকতে। তবে আজ সে আমার ভাল বন্ধু। আসলে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও পাবলিকলি স্মৃতির মর্যাদা দিতে হয়।” তাই কি তিনি প্রকাশ্যে কোনও দিন শুভশ্রীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি? “কার সঙ্গে আমি লড়ব বলুন তো! যার সঙ্গে আমার চার বছর সম্পর্ক ছিল, তাকে তো পাবলিকলি অপমান করতে পারি না। আমি কোনও সম্পর্ক তিক্ততা দিয়েও শেষ করতে চাই না। শুভর সঙ্গে পথ চলা শুরু হয়েছিল ‘চ্যালেঞ্জ’য়ের মতো হিট দিয়ে। আর শেষ ছবিটা ‘খোকা ৪২০’। ওহ্, কী দারুণ সাফল্য পেল ছবিটা। যাই লেখা হোক না কেন, আমি আজ পর্যন্ত কোনও বেফাঁস কথা বলিনি। বলব না। বরং বলব যে মনে মনে চেয়েছিলাম যেন ‘খোকা ৪২০’ বিশাল সাফল্য পায়। ওই সাফল্য আমি শুভকে গিফট করতে চেয়েছিলাম। সম্পর্ক টেকা না টেকার বাইরে তো একটা জীবন থাকে। তার জন্য এগিয়ে যাওয়াটা দরকার।” |
|
|
|
|
|