টুকরো খবর
বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ধৃত ৪
মাঝরাতে দেড় বছরের মেয়ের কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল বাড়ির লোকের। তার মাকে বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি। পরে দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন, সিলিং-এ ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মা। পায়ের কাছে বসে কাঁদছে শিশুটি। মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরপুকুর থানার রক্ষিতপাড়ার ঘটনা। মৃতার নাম মধু সাউ (২৫)। রাতেই পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মধুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী ও ননদ গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের নাম শঙ্কর, গৌরী, দীপক ও পিঙ্কি সাউ। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মধুর বাবার অভিযোগ, বিয়ের সময়ে মধুর শ্বশুরবাড়ি ৫ লক্ষ টাকা পণ চায়। তা দিতে না পারায় মধুকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হত। তা সহ্য করতে না পেরেই মধু আত্মঘাতী হন। পুলিশ জানায়, আড়াই বছর আগে দীপক ও মধুর বিয়ে হয়। দীপক এক বেসরকারি সংস্থার গাড়ির চালক।

সততার নজির
এক ট্যাক্সি-মালিক ও চালকের সততায় ল্যাপটপ, মোবাইল ফিরে পেলেন এক যুবক। ট্যাক্সি-মালিকের নাম শৈলেন্দ্র সিংহ, চালকের নাম লখিন্দর রাই। বুধবার বাবু মুখোপাধ্যায় নামে হাওড়ার ওই যুবক ভবানীপুর থানায় গিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তাঁর জিনিস ফেরত নিয়ে এসেছেন। পুলিশ জানায়, ২৬ অগস্ট হাওড়া স্টেশন যাওয়ার জন্য টালিগঞ্জ থেকে ট্যাক্সি নেন বাবু। নামার সময়ে ব্যাগ নিতে ভুলে যান। তাতে ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্রেডিট ও এটিএম কার্ড ও জরুরি কাগজ ছিল। শৈলেন্দ্র বুধবার পুলিশকে জানান, রাতে গাড়ি গ্যারাজ করার সময়েই লখিন্দর ব্যাগটি দেখে মালিককে জানান। পুলিশ জানায়, শৈলেন্দ্রের দাবি, তিনি ভবানীপুরের বিভিন্ন ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, কেউ ল্যাপটপ ও মোবাইলের খোঁজ করেছেন কি না। বুধবার সকালে ভবানীপুর থানায় গিয়ে জিনিস-সহ ব্যাগটি ফেরত দেন।

উড়ালপুলে বিপত্তি
ঢালাইয়ের কোনও একটি জায়গায় জল ঢুকেই নাগেরবজার উড়ালপুলের একটি অংশ থেকে চাঙড় খসে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে তাঁদের আশ্বাস, চাঙড় খসলেও উড়ালপুল দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা নেই। ওই অংশের মেরামতি নিয়ে বুধবার দক্ষিণ দমদম পুরসভায় বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স বা এইচআরবিসি-র আধিকারিক, দক্ষিণ দমদমের পুর-প্রতিনিধি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেতু বিশেষজ্ঞেরা। পুরসভা সূত্রের খবর, দু’-এক দিনের মধ্যেই ওই অংশটি পরীক্ষা করে সারিয়ে দেওয়া হবে।

ট্রেলারে পিষ্ট
রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন এক যুবক। খেয়াল করেননি, কন্টেনার বোঝাই একটি ট্রেলার পিছনে ঘুরছে। সেই ট্রেলারের ধাক্কায় পড়ে তারই চাকায় পিষ্ট হলেন তিনি। বুধবার বিকেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে কাশীপুর রোড ও রামগোপাল ঘোষ লেনের মোড়ে। পুলিশ জানায়, বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৪২) নামে ওই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পানিহাটির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কাশীপুরের একটি গুদামে কাজ করতেন। দুর্ঘটনার পরে ট্রেলারচালক পালিয়ে যায়।

ইনস্পেক্টরের বদলি-রহস্য
কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ থেকে বদলি হয়ে বুধবার বিকেলে বাঁশদ্রোণী থানার ওসি-পদে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ইনস্পেক্টর অরুময় মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে। লালবাজারের খবর, অসুস্থ বলেই তাঁকে পুরনো জায়গায় ফেরানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অসুস্থ জেনেও তাঁকে বদলি করা হয়েছিল কেন? জবাব মেলেনি। এই নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অরুময়বাবুর বক্তব্য, তিনি সুস্থ। মঙ্গলবার তাঁর কাছে বাঁশদ্রোণীর ওসি অভিজিৎ সেনের জায়গায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ পৌঁছয়। অভিজিৎবাবু বদলি হয়েছেন এনফোর্সমেন্টে। বুধবার বিকেলে বাশদ্রোণী থানায় যান অরুময়বাবু। সন্ধ্যায় লালবাজার নির্দেশ দেয়, তাঁকে ফিরতে হবে এনফোর্সমেন্টেই।

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
পাটুলি থানার শ্রীরামপুর রোডে এক প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সমীর দত্ত। মঙ্গলবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জেনেছে, সুবীরবাবু দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তাঁর দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের অনুমান, অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন প্রৌঢ়।

হাজতে সুদীপ্ত
তিন মাসের বকেয়া বেতন না-দেওয়ার অভিযোগে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে দু’দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার সুদীপ্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ৩০ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.