করের জট
বিষয়টাকে সহজ-সরল করতে বেশ কিছু দিন ধরেই বিস্তর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। কখনও তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে। তো কখনও বা কাগজে-টিভিতে বিজ্ঞাপনের সিঁড়ি বেয়ে। কিন্তু এত সবের পরেও আয়করের রিটার্ন জমার পদ্ধতি কেমন যেন সেই গোলকধাঁধার মতোই রয়ে গিয়েছে। অন্তত আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের কাছে।
এখনও বেশিরভাগ মানুষের কাছেই কর জমা দেওয়া এক মস্ত ঝঞ্ঝাট। যার পরতে পরতে আইনি জটিলতা আছে। উৎসে কর কাটা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে এক বদ্ধমূল বিশ্বাস। তা হল, সরকার বাহাদুর যদি ভুল করেও এক বার করের টাকা বেশি কেটে নেয়, তবে তা ফেরত পেতে কালঘাম ছুটবে আমাদের।
আজকের আড্ডায় অসুবিধার এই জায়গাগুলোয় আলো ফেলব আমরা। খতিয়ে দেখব সমস্যার উৎস। জানতে চেষ্টা করব তা থেকে রেহাই পেতে কী করতে পারি আমি-আপনি? আসুন, আলোচনায় বসি:

কর কেটেও ছাড় কই?
অনেক সময়েই দেখা যায় যে, উৎসে কর (ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএস) কাটা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু ফর্ম ১৬ অথবা ১৬-এ-তে তা যে- ভাবে প্রতিফলিত হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। ফলে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আপনি।
কেন এমনটা হয়?
এর একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন
হয়তো আপনার আয় থেকে টিডিএস কাটা হয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে তা জমা পড়েনি আয়কর দফতরের ঘরে। ফলে এখন অকারণে হয়রান হতে হচ্ছে আপনাকে।
অনেক সময় আবার দেখা যায় টিডিএস কাটা হয়েছে। তা জমাও দেওয়া হয়েছে ঠিক সময়ে। কিন্তু তার জন্য যে সার্টিফিকেট প্রাপ্য, যিনি কর কেটেছেন, তিনি তা ইস্যু করেননি। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
এখন টিডিএস সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তৈরির দায়িত্ব এনএসডিএল (ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড)-কে দিয়েছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বেঙ্গালুরুতে সিপিসি (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)-র কাছে পাঠায় তারা। অনেক সময়ে ভুল থেকে যায় ওই তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রেও।
এমনিতে আয়কর আইনে বেশ কড়া ভাবে বলা আছে যে, উৎসে কর কাটার পর তা জমা না-দিলে, সেই টাকা ‘ডিডাক্টর’-এর কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারবে কর দফতর। সে ক্ষেত্রে যে ওই টিডিএস কেটেছিল (ডিডাক্টর), দেরির জন্য জরিমানা বা সুদ গুনতে হবে তাকে।
কিন্তু সমস্যা হল, ওই টাকা যাবে আয়কর দফতরের ভাঁড়ারে। অথচ যাঁর থেকে ওই কর গোড়ায় কাটা হয়েছিল, ভুল না-করা সত্ত্বেও প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট এক স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্তে আয়কর দফতরকে ওই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছে। এই মর্মে নির্দেশও জারি করেছে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাস্তবে তা করার নমুনা এখনও তেমন চোখে পড়েনি।
ফর্ম ২৬ এএস
এনএসডিএল-এর মাধ্যমে আপনার নামে যত টিডিএস ও অন্যান্য কর জমা পড়ছে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নথিবদ্ধ থাকার কথা ফর্ম ২৬ এএস-এ। যা পাওয়া যায় www.incometaxindiaefiling.gov.in ওয়েবসাইটে। সেখানে রেকর্ড তৈরি করা হয় টিডিএসের ত্রৈমাসিক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাঙ্কের ওএলটিএএস (অনলাইন ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম) মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।
সমস্যা হল, আপনি ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপর যে-সুদ পান, তা ফর্ম ২৬ এএস-এ তোলা থাকে ঠিকই। কিন্তু সেই বাবদ যে টিডিএস কাটা হয়েছে, তার জন্য সার্টিফিকেট (ফর্ম ১৬-এ) ব্যাঙ্ক অনেক সময়ই দেয় না। ফলে সেই সুদ রিটার্নে ঠিকঠাক দেখানো (যা ফর্ম ২৬ এএস-এর সঙ্গে মিলবে) করদাতার পক্ষে শক্ত হয়।
শুধু তা-ই নয়। ওই ফর্ম যখন আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কিংবা সিপিসি-র ঘরে পৌঁছয়, তখন সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদেরও। কারণ, ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা সুদ পেয়েছেন, তা তাঁরা দেখতে পান ঠিকই। কিন্তু ওই টাকা আদৌ করযোগ্য কি না, তা নিয়ে ধন্দে পড়তে হয় তাঁদের। সমস্যা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেও।
মনে রাখবেন, টিডিএস কাটার পর তা সরকারের ঘরে জমা দেওয়া এবং এনএসডিএলের কাছে তার ত্রৈমাসিক স্টেটমেন্ট ফাইল করা কিন্তু যে কর কাটছে, তার কাজ। ফর্ম ১৬ বা ফর্ম ১৬ এ-তে টিডিএস সার্টিফিকেট ইস্যু করাও তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই উৎসে কর কাটার পরেও যদি আপনি ওই সার্টিফিকেট না-পান কিংবা ফর্ম ২৬এএস-এ তা ঠিক ভাবে প্রতিফলিত হতে না-দেখেন, তবে অবশ্যই যে-সংস্থা কর কাটছে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বলুন ওই সমস্ত কাজ চটজলদি মিটিয়ে দিতে। যদি তাতেও চিঁড়ে না-ভেজে, তা হলে উপায় স্থানীয় টিডিএস কমিশনারকে অভিযোগ জানানো। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রাপ্য ফেরত পাচ্ছি কই?
অনেকেই অভিযোগ করেন, বেঙ্গালুরুর সিপিসি থেকে উটকো চিঠি এসেছে তাঁদের বাড়িতে। লেখা রয়েছে, বেশি কর কাটা যাওয়ায় সেই বাবদ ফেরত হিসেবে কিছু টাকা তাঁদের প্রাপ্য। কিন্তু তা তাঁরা হাতে পাবেন না। কারণ দেখা যাচ্ছে, আগের কোনও বছরের কর হিসেবে কিছু টাকা বকেয়াও আছে তাঁদের দিক থেকে। সেই কারণে প্রাপ্য অঙ্ক থেকেই বকেয়া কেটে নেবে আয়কর দফতর। ফলে টাকা ফেরত আর হবে না। হযবরল-র ভাষায় হাতে থাকবে পেন্সিল।
এই চিঠি পেয়ে প্রায় আকাশ থেকে পড়েন অনেকে। বুঝে উঠতে পারেন না, আদৌ কোন টাকা বকেয়া ছিল। কবেই বা করের টাকা ঠিকঠাক জমা দেননি তাঁরা।
নিঃসন্দেহে এটা মস্ত বড় হয়রানি। কিন্তু কেন এমনটা ঘটে?
এর দু’টো কারণ হতে পারে
সত্যি সত্যিই করের কোনও টাকা বাকি থেকে গিয়েছে আপনার দিক থেকে। যেমন, হয়তো ব্যাঙ্ক-সুদে দেয় করের টাকা আপনি জমা দেননি। কিংবা আয়কর রিটার্ন জমার সময় খেয়ালই করেননি যে, সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তা প্রতিফলিত হচ্ছে না সেখানে। এবং তার পর আপনার সমস্ত উৎস থেকে আয় এক জায়গায় করার পর তা চোখে পড়েছে সিপিসি-র। তাই আপনাকে ওই চিঠি পাঠিয়েছে তারা।
আবার উল্টোটাও হতে পারে। যেমন, আপনার দিক থেকে সম্ভবত অনেক আগে কর বাবদ কোনও টাকা বাকি ছিল। পরে হয়তো তা মেটানোও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কর দফতরের কাছ থেকে সেই তথ্য আর সিপিসি-র ঘরে পৌঁছয়নি। তাই পুরনো বকেয়াই ফের আপনার প্রাপ্য টাকা থেকে কেটে নিয়েছে সিপিসি।
এ ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে হবে স্থানীয় আয়কর আধিকারিকের কাছে। লিখিত ভাবে জানাতে হবে সিপিসি-র চাওয়া বকেয়াকে কেন অযৌক্তিক মনে করছেন আপনি। সঙ্গে পেশ করতে হবে তার তথ্য-প্রমাণও। যাতে বোঝা যায় যে, হয় ওই টাকা আদৌ তাদের প্রাপ্য নয় কিংবা আগেই তা মিটিয়ে দিয়েছেন আপনি।
মনে রাখবেন, ওই অফিসারই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি আপনার রেকর্ডকে সেই অনুযায়ী ঠিক করতে পারেন এবং তা জানাতে পারেন সিপিসি-কে। এ নিয়ে সিপিসি-র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে কিন্তু কোনও লাভ নেই।
সমস্যায় উত্তরাধিকারী
ধরুন ‘ক’-বাবুর মৃত্যুর পর আইনি উত্তরসূরি হিসেবে সম্পত্তির মালিক হলেন ‘খ’- বাবু। বা মনে করুন, উইলের এগ্জিকিউটর হিসেবে ওই সম্পত্তি দেখাশোনা করছেন তিনি। সমস্যা হল, দু’ক্ষেত্রেই ওই সম্পত্তির জন্য কর দিতে গিয়ে বিস্তর ঝঞ্ঝাট পোহাতে হবে তাঁকে। কারণ, এ জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করেনি আয়কর দফতর।

আদৌ পৌঁছল কি?
আয়কর দফতর যদি আপনার বাড়িতে কোনও নোটিস বা নির্দেশ পাঠায়, তা হলে তার প্রাপ্তিস্বীকার করতে আপনি বাধ্য। কিন্তু এর উল্টোটা কখনও ঘটে না। কর দফতরের কর্তাদের সামনে সমনে হাজির হলে কিংবা তাঁরা বিভিন্ন তথ্য ও কারণ চেয়ে পাঠালে, তখন সে সব পাঠাতে হয় করদাতাকে। চাইলে সে-সব পাঠাতে পারেন তাঁর নিয়োগ করা প্রতিনিধিও। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই তথ্য বা কাগজপত্র যে-পৌঁছেছে, তা নিশ্চিত ভাবে জানার উপায় নেই। কারণ, লিখিত ভাবে সেই প্রাপ্তিস্বীকারটুকু চাওয়ার অধিকারই নেই তাঁর।

যদি নিজেই কাটি?
আগে বাড়তি কর দেওয়ায় হয়তো কিছু টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। আবার অন্য দিকে পুরনো কিছু করের টাকাও বকেয়া আছে। সে ক্ষেত্রে আয়কর দফতরের পূর্ণ অধিকার আছে প্রাপ্য থেকে বকেয়াটুকু কেটে নেওয়ার। কিন্তু উল্টোটা করার সাধ্যি আপনার নেই। আপনি হয়তো জানেন, কর দফতরের কাছে কিছু টাকা ফেরত পাবেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু দেয় করের টাকা থেকে তা আগাম কেটে নেওয়ার জো নেই। বরং প্রথমে করের পুরো টাকাই মিটিয়ে দিতে হবে আপনাকে। আর তার পর ফেরতের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে সরকারের দিকে।

ভুলের শাস্তি কই?
দফতর যদি করের অঙ্ক ভুল মূল্যায়ন করে কিংবা হিসাবে গরমিল থাকে, তাহলেও কিন্তু বহাল তবিয়তে পার পেয়ে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। কোনও শাস্তি বা জরিমানার বন্দোবস্ত সেখানে নেই। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, সেই রাস্তা খোলা থাকলে, হিসাব কষার সময়ে আরও সাবধানী হত আয়কর দফতর। নিখুঁত হত কাজ। কমত ভুল-ভ্রান্তি। সাধারণ মানুষের ধারণাও অনেক স্বচ্ছ হত তাদের সম্পর্কে।

তা হলে এ বার?
যাঁদের আয়কর অডিট করাতে হয় না, চলতি ‘অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার’ (২০১৩-’১৪)-এর জন্য তাঁদের রিটার্ন জমার শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনিতে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই রিটার্ন জমা দিতে হয়। কিন্তু এ বার সেই সময় কিছুটা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫ অগস্ট। সেই তারিখও এখন পেরিয়ে গিয়েছে।
অথচ নানা কারণে এখনও রিটার্ন জমা দিতে পারেননি অনেকেই। তা হলে তাঁরা এখন কী করবেন? আসুন জানি।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। কিছু টাকা জরিমানা গুনতে রাজি থাকলে, তা দেওয়া যাবে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার মুখে পড়তে হবে তাঁদের। যেমন
যাঁরা নির্দিষ্ট দিনের (৫ অগস্ট) পর কিন্তু ২০১৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রির্টান জমা করবেন, তাঁরা ওই রিটার্নের কোনও ভুল আর পরে সংশোধন করতে পারবেন না। অর্থাৎ, হয়তো তিনি করছাড়ের কোনও সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। অথচ ওই বাবদ কর ইতিমধ্যেই মিটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু রিটার্নে উল্লেখ করেননি। এ রকম ক্ষেত্রে জমা দেওয়া বাড়তি করের টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ হারাবেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন জমা দিলে কিন্তু তা যত বার প্রয়োজন সংশোধনের সুযোগ থাকে। শুধু তার জন্য সংশোধিত রিটার্ন জমা দিতে হয় অ্যাসেসমেন্ট শেষ হওয়ার আগে।
নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে রিটার্ন জমা দিলে, কোনও কর বকেয়া থাকলেও তা পরে আদায় করে নেবে আয়কর দফতর। তার উপর কোনও সুদ দিতে হবে না। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলে, ওই দিনের পর থেকে যত দিন তা জমা না-দিচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত প্রতি মাসে (এমনকী আংশিক মাসের জন্য) এক শতাংশ হারে বকেয়া করের উপর সুদ গুনতে হবে।
যাঁদের অগ্রিম কর দিতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ে তা জমা না-দিলে, মাসে এক শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে তাঁদের। যে-আর্থিক বছরের জন্য কর, তা শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে যতক্ষণ তা না মেটাবেন, তত দিন পর্যন্ত সুদ দিতে হবে।
ধরুন, ২০১২-’১৩ আর্থিক বছরের জন্য ২০ হাজার টাকা আগাম কর মেটানো বাকি রয়েছে। আপনি ২০১৩-’১৪ সালের (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) মে মাসে তা মিটিয়ে দিয়েছেন। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে জমা করেছেন রিটার্নও। সে ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকার উপর দু’মাসের জন্য (এপ্রিল ও মে) এক শতাংশ করে (মোট ৪০০ টাকা) সুদ দিলেই আপনি দায়মুক্ত। তবে মনে রাখবেন, আংশিক মাসের জন্যও পুরো মাসের সুদই দিতে হবে।
কিন্তু যদি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে রিটার্ন জমা না-করেন, তা হলে সুদ সমেত ২০ হাজার টাকা মিটিয়েও রক্ষে নেই। কারণ, তখন আবার যত দিন রিটার্ন জমা না-দেবেন, তত দিন ওই টাকার উপর আলাদা করে সুদ গুনে যেতে হবে। যার হিসেব কষা শুরু হবে রিটার্ন জমার মেয়াদ ফুরনোর পরের দিন থেকেই।
নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে লোকসান হলে, সেই টাকা আয়ের থেকে বাদ দিয়ে তার পর কর হিসাব করার সুযোগ মেলে। কোনও কারণে সেই বছর তা করা সম্ভব না-হলে, পরের বছরের আয় থেকেও ওই লোকসানের অঙ্ক বাদ দেওয়া যায়। একে বলে ‘ক্যারি ফরোয়ার্ড অ্যান্ড সেট অফ’। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে রিটার্ন জমা না-দিলে, এই সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবেন আপনি।
যাঁরা এক বছর বাড়তি সময় চান (অর্থাৎ রিটার্ন জমা দিতে চান ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে), উপরের অসুবিধাগুলি ভোগ করতে হবে তাঁদেরও। তবে সঙ্গে থাকবে বাড়তি সমস্যা। কারণ, এই সমস্ত করদাতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করবে আয়কর দফতর।

বিশেষজ্ঞের অভিমত ও তথ্য বিচার: সঞ্জয় ভট্টাচার্য ও অরবিন্দ অগ্রবাল


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.