দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ নিতে চলেছে রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাজারে বন্ড ছেড়ে ফের ১,৫০০ কোটি টাকা তুলতে চলেছে রাজ্য। সোমবার অর্থ দফতরের তরফে এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খরচ তুলতেই ঋণ নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বন্ড ছেড়ে টাকা তোলা হবে। রাজ্য সরকারগুলি প্রধানত দু’টি উপায়ে বাজার থেকে ঋণ নেয়। একটি রাজ্যের ডাকঘরে জমা পড়া স্বল্প সঞ্চয়ের টাকা থেকে। অন্যটি বাজারে বন্ড ছেড়ে। স্বল্প সঞ্চয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমার কারণে বন্ডের উপরেই এখন এ রাজ্যের সরকারকে নির্ভর করতে হচ্ছে বেশি। অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তি বলছে এ দফায় ১০ বছর মেয়াদি বন্ড বাজারে ছাড়া হবে। যা কিনবে বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থা। চলতি অর্থবর্ষে (২০১৩-’১৪) বাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অর্থ দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। (চলতি সপ্তাহে বন্ড ছাড়ার পরে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা) যার বেশির ভাগটাই খরচ হয়েছে রাজ্যের দশ লক্ষ বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বেতন এবং পেনশন জোগাতে। এই খাতে প্রতি মাসে খরচ হয় প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে দানখয়রাতি খাতে খরচ বাড়াও কোষাগারে টান পড়ার একটা বড় কারণ বলে জানাচ্ছেন অর্থ দফতরের কর্তারা। ঋণের ভারে ধুঁকছে এমন রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নাম একেবারে শীর্ষে। এর পরেই রয়েছে পঞ্জাব ও কেরল। অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বামফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার সময় রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। গত ২৭ মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার উপর ঋণ নিয়েছে। ফলে সুদ-আসল মিলিয়ে রাজ্যের দেনার পরিমাণ এখন ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। |
ঝাড়খণ্ডকে রাজ্যের আর্জি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বন্যা পরিস্থিতি এড়াতে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডকে আগাম জানিয়ে জল ছাড়ার জন্য অনুরোধ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টিতে জলমগ্ন। তার উপরে ঝাড়খণ্ডের বাঁধ থেকে জল ছাড়লে সংলগ্ন পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর-সহ কিছু জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। তার পরেই উপকূলবর্তী জেলাগুলির বাসিন্দা ও মত্স্যজীবীদের আগাম সতর্ক করেছেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। |
বিরোধিতা ছাড়াই পাশ পরিষেবা বিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিতে এবং সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর দাওয়াই হিসাবে সোমবার বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল জনপরিষেবা অধিকার বিল। আলোচনায় সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা বলেন, “আসি যাই, মাইনে পাই, কাজ করলে উপরি চাই! সরকারি কর্মীদের এই ধারণা পাল্টাতে হবে।” সরকার ও বিরোধী, উভয় পক্ষের বিধায়কদেরই দাবি, আইনটি ভাল কিন্তু তাকে ঠিক ভাবে কার্যকর করতে হবে। |
ঘুড়িতে সচেতনতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে ভোটদান পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে ১৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমা কার্যালয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হবে। ঘুড়িতে লাগানো থাকবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ‘লোগো’। এ ছাড়াও ক্যুইজের আয়োজন হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। |