টুকরো খবর
নদীবাঁধ ভেঙে আতঙ্ক ছড়াল নবদ্বীপে
গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার নিচে থাকলেও নদীবাঁধ ভেঙে আতঙ্ক ছড়ালো নবদ্বীপ শহর সংলগ্ন বাবলারি পঞ্চায়েত এলাকায়। সোমবার সকালে একটি ইটভাটা সংলগ্ন গঙ্গার মাটির বাঁধে ভাঙন দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই দেখা যায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে অল্প অল্প জল ওই এলাকায় ঢুঁকছে। খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, নবদ্বীপের পুরপ্রধান। খবর দেওয়া হয় সেচ দফতরকেও। সেচ দফতরের নদিয়া জেলার এসডিও সুবীর রায় বলেন, ‘‘মাটির বাঁধটি জীর্ণ হওয়ায় কিছুটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। ওই বাঁধটি সেচ দফতর নয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রনাধীন। তবুও আমরা জরুরি ভিত্তিতে বাঁধের ভেঙে যাওয়া কমবেশি ২০ মিটার অংশ মেরামতের ব্যবস্থা করছি।’’ সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, নবদ্বীপে গঙ্গায় বিপদসীমা ৮.৪৪ সেমি, চরম বিপদসীমা ৯.০৫ সেমি। সোমবার বিকেলে নবদ্বীপের কাছে স্বরূপগঞ্জে গঙ্গার উচ্চতা ছিল ৭.৯০ সেমি। নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “বাবলারির যে অঞ্চলে নদীবাঁধ ভেঙেছে তার কাছেই প্রতাপনগরে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম।”

শিশু চুরির ‘চেষ্টা’, ধৃত তরুণী
শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অঞ্জনা পারভিন পুরুলিয়ার কসাইমহল্লা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত তেহট্টের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা মনোজ বিশ্বাস পলাতক। সোমবার নাকাশিপাড়ার ভেবোডাঙা গ্রামে ফেরিঘাটের কাছ থেকে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, বহিরগাছি গ্রামের বাসিন্দা সুহিত রায়ের দেড় বছরের ছেলে সুবর্ণ রায়কে নিয়ে পালাচ্ছিলেন ওই তরুণী। বিষয়টি জানাজানি গ্রামবাসীরা খবর দেয় পুলিশে। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসে। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মনোজ বিশ্বাস শিশুটির বাবা সুহিত রায়ের মামা। রবিবার দুপুরে তিনি ওই তরুণীকে সুহিত রায়ের বাড়িতে রেখে যান। সোমবার সকালে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম শিশুটিকে নিয়ে পালাচ্ছিল। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম দত্ত চৌধুরী বলেন, “তরুণী কি করে এখানে এলেন এবং কিভাবে আর এক অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হল খতিয়ে দেখছি।”

ছাত্রকে মারধরের নালিশ
নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শুক্রবার এনামূল কবীর নামে ওই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। জখম ছাত্রকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ছাত্রটির পরিবারের তরফে বেলডাঙা ভাচতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আনারুল হক অবশ্য বলেন, “ওই পড়ুয়া ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে অশ্লীল শব্দ লেখে। গালাগাল করে ছাত্রীদের। তাই শাসন করেছি তাকে।”

ভর্তির দাবিতে অধ্যক্ষ ঘেরাও
আবেদনকারী সকলকে স্নাতক (সাধারণ) স্তরে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে সোমবার কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অধ্যক্ষা জয়শ্রী রায়চৌধুরী বলেন, “কাউন্সিলিংয়ে ৫৮ জন ভর্তির সুযোগ পাননি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় আসন বাড়িয়ে ৪০ জনকে ভর্তির অনুমতি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকে উপেক্ষা করে বাকিদের ভর্তি নেওয়া অসম্ভব।” টিএমসিপির তরফে ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সম্রাট পাল বলেন, “আমরা চাই সকলকে ভর্তি নেওয়া হোক। তাই এই আন্দোলন।”

শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ধৃত
প্রতিবেশী এক কলেজ পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ সোমবার এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ঘূর্ণির বাসিন্দা। এ দিনই ধৃতের শ্বশুর তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পড়ুয়ার বাবার বিরুদ্ধে। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “ওই দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল। দু’পক্ষই শ্লীলতাহানির নালিশ করেছে।”

বিপজ্জনক গর্তকে সঙ্গী করেই পথচলা
ছবি: বিতান ভট্টাচার্য।
এক মাসে পনেরোটিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারণ, রাস্তাজুড়ে বিশালাকায় একটি গর্ত। কল্যাণী শহরের মধ্যে ব্যস্ত রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে এই গর্ত। সংস্কার না হওয়ায় এই পথে নিত্য যাতায়াতকারীরা ডেয়ারি ফার্মের কাছে বিপজ্জনক এই জায়গাটি সতর্ক ভাবেই এড়িয়ে চলেন। কিন্তু সমস্যা হয় বৃষ্টি হলে। গর্তের গভীরতা বোঝা যায় না। আর সেই না বোঝার কারড়েই ঘটে দুর্ঘটনা। গত কয়েক মাসে কল্যাণীর বহু রাস্তারই অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে। পুরসভারই এই রাস্তাগুলি সারানোর কথা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই কাজে কোনও নজরই দেয় না পুর কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে উদাসীন মহকুমা প্রশাসনও। পুরসভার পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বৃষ্টির কারণেই জন্যই রাস্তা সারানো যাচ্ছে না। বর্ষায় ভারী লরি চলাচল করার ফলে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে পিচ দিয়ে রাস্তা সারালে সেটি কমজোরি হয়ে পড়বে বলে সাময়িক ভাবে ইট ফেলে গর্ত বোজানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।

বজ্রাঘাতে মৃত্যু
মাঠে কাজ করার সময় সোমবার বজ্রাহত হয়ে নাকাশিপাড়ার ছোট শিমুলিয়ার বাসিন্দা কিশোর ঘোষের (৪২) মৃত্যু হয়েছে। এ দিনই ধুবুলিয়ার নেকির বাসিন্দা মজিদ আলি মল্লিকও (৪২) বজ্রাহত হয়ে মারা যান। অন্য দিকে, মাঠে কাজের সময় বজ্রাহত হয়ে মৃত্যু হয় বেলডাঙার নতুনপাড়ার তপন মণ্ডল (৪৫) নামে এক ব্যক্তির।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.