সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে বরুণ বিশ্বাসের পরিবার |
শুরু থেকেই সিআইডি তদন্তে সন্তুষ্ট ছিল না বরুণ বিশ্বাসের পরিবার। এ বার সিআইডি তদন্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল তাঁর পরিবার। বরুণ বিশ্বাসের দাদা অসিত বিশ্বাস জানান, প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সচেষ্ট নয় সিআইডি। তাঁর ভাইকে হত্যার পেছনে জড়িত একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের আড়াল করতেই ব্যাস্ত সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা। তাই আজ হাইকোর্টে বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের এজলাসে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুটিয়া গণধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করে সিপিএম-তৃণমূল উভয় পক্ষই। বরুণ বিশ্বাসের হত্যা ফের শিরোনামে নিয়ে এসেছে সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডকে। কেন খুন হলেন মিত্র ইন্সটিটিউশনের (মেন) শিক্ষক বরুণ? ২০০৩ ও ২০১১ সালে প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপালবাবুর উপরেও বোমা-বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ননীগোপালবাবুর কথায় সুটিয়া গণধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলনে সোচ্চার হয় মিত্র ইন্সটিটিউশনের (মেন) শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। ঘটনায় জড়িত স্থানীয় একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এ সবের জেরেই বরুণকে খুন হতে হল বলে মনে করেন বৃদ্ধ ননীগোপালবাবু। বরুণ-খুনের পরে ননীগোপালবাবুকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী দিয়েছে সরকার। ননীগোপালবাবুর আফসোস, এই নিরাপত্তাটুকু পেলে বরুণ বিশ্বাসকে এমন অকালে চলে যেতে হত না। বরুণ হত্যার পর বছর ঘুরলেও সুবিচার পায়নি তাঁর পরিবার বা সুটিয়ার মানুষ। তাই হাইকোর্টে বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের এজলাসে নতুন করে দায়ের করা মামলার দিকে তাকিয়ে আশাবাদি তাঁরা।
|
নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ |
২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর নানুর থানার সাঁতরা গ্রামে ৮ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ওই নাবালিকার বাবা সন্তোষকুমার দত্ত-র অভিযোগে বিনয় মাঝি নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতের বাবার অভিযোগ, নবান্নের সময় ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লজেন্স দেওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে কোলে করে নিয়ে গিয়েছিল বিনয়। গ্রামের কাছে চরকডাঙা মাঠে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে খুন করে পানা পুকুরে ফেলে দেয়। এই মামলায় দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষে আজ রায় দিল বোলপুর মহকুমা আদালত। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিনয় মাঝিকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিল আদালত। সুটিয়া, কামদুনির মতো ঘটনার পর এই রায় যে ব্যাতিক্রমী তাতে সন্দেহ নেই। |