চেন্নাইয়ের হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বহু রোগী পেতেন বাঙালি চিকিৎসকটি। এঁদের অনেকেই গরিব। ঘটিবাটি বিক্রি করে খানিক টাকা জোগাড় করে সুচিকিৎসার আশায় চলে গিয়েছেন দক্ষিণে। কিন্তু চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে কিছু দিনের মধ্যেই টাকা কম পড়েছে।
অন্ধকার ঘনিয়েছে মানুষগুলোর চোখে। এই অসহায়তায় দিশা দেখাতেই ২০০১-এ ‘ডক্টর ঘোষ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ তৈরি করেন নিউরোসার্জেন সিদ্ধার্থ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী প্যাথোলজিস্ট মিত্রা ঘোষ। |
এই ট্রাস্টেরই বার্ষিক ‘তহবিল সংগ্রহ’ অনুষ্ঠান ছিল শনিবার মহাজাতি সদনে। এসেছিলেন অজয় চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের মতো বিশিষ্টেরা। ট্রাস্টের তরফে মিত্রাদেবী জানান, ইতিমধ্যে ১৬০ জন দরিদ্র রোগীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ বা অর্ধেকের বেশি খরচ দিয়েছে এই ট্রাস্ট।
এ ছাড়া, প্রতি বছর তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ১০-১২ জন ডাক্তারির ছাত্রের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হয়। এক-একজন ছাত্রপিছু ট্রাস্টের তরফ থেকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রতি বছর একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান করে টাকা সংগ্রহ হয়। |