ইসকুলে মুশকিল
দুটো সমস্যা। এক, পড়া করে এলেও কয়েক জন শিক্ষিকা ক্লাসে পড়া ধরেন না। তাই, আমার মনে হয় পড়া করার অর্থ কী? দুই, স্কুলে রোল নম্বর হিসেবে ক্লাসে বসতে হয়, ফলে আমার বন্ধুদের সঙ্গে বসতে পারি না। কী করব?
দেবেশী রাহা। ষষ্ঠ শ্রেণি, নব ব্যারাকপুর কলোনি গার্লস হাইস্কুল

দেখো দেবেশী, পড়া তৈরি করাটা তো পড়া শেখার জন্য। দিদিমণি পড়া না ধরলেও তোমার তো পড়া তৈরি হয়ে রইল। পরীক্ষার সময় কাজে আসবে। তা ছাড়া, কোন দিন যে দিদিমণি পড়া ধরবেন, তা তো তুমি জানো না। হঠাৎ এক দিন ধরলে, তুমি উত্তর দিতে পারবে। সুতরাং, পড়া রোজ তৈরি করে যাবে।
রইল বন্ধুদের সঙ্গে বসার কথা তা যাদের সঙ্গে বসছ, তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে নাও না কেন? তা হলে আর সমস্যা থাকে না। আর তোমার প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে টিফিনের সময় বা ফাঁকা পিরিয়ডে কথা বলে নিয়ো। স্কুলে একটা শৃঙ্খলা তো রাখতে হবে, তাই তোমাদের স্কুলে রোল নম্বর হিসেবে বসার নিয়ম চালু করা হয়েছে। মেনে চললে, তোমারও সুবিধে হবে।

পড়তে বসলে পড়া আমার মাথায় ঢোকে না। খুব ক্লান্ত লাগে, মাথাব্যথা করে। টিভির চিন্তা মাথায় গিজগিজ করে। আমার কী করা উচিত?
মনামী দত্ত। নবম শ্রেণি, চেতলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

মনামী, তোমার সমস্যা একাধিক। প্রথমত, তোমার ক্লান্ত লাগে। দেখতে হবে, তার শারীরিক কোনও কারণ আছে কি না, যেমন, রক্তাল্পতা বা থাইরয়েডের সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। পড়তে বসলে মাথাব্যথার কারণ জানতে হলে, চোখ পরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে, চোখের কোনও সমস্যা আছে কি না। এ সব কিছুই যদি না থাকে, তা হলে বুঝতে হবে, সমস্যাগুলো মানসিক কারণে হচ্ছে। প্রথমত, টিভি থেকে মন যদি না সরাতে পারো, তা হলে টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। প্রথম প্রথম খারাপ লাগবে, কিন্তু যদি মন স্থির করো যে পরীক্ষায় ভাল ফল করতে হবে, তা হলে ধীরে ধীরে ছাড়তে পারবে। দ্বিতীয়ত, আগ্রহ নিয়ে, বুঝে পড়তে হবে। নিষ্ক্রিয় (passive) ভাবে পড়লে, পড়ায় মন বসে না। লিখে লিখে পড়বে। বইয়ের পরিচ্ছদের হেডিংগুলো দিয়ে মনে মনে একটা প্রশ্ন তৈরি করে নেবে আর সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মন নিয়ে পড়বে। তা হলে, পড়ায় আগ্রহ আসবে। চেষ্টা করো।

আমার বেঞ্চের একটি মেয়ে আমায় ঠিকমতো পড়তে এবং শুনতে দেয় না। আমার ওপর নানান অত্যাচার করে। তাকে বার বার বোঝালেও, সে শোনে না। আমার কী করা উচিত?
অঙ্কিতা ঘোষ। অষ্টম শ্রেণি, বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
শ্রেণি-শিক্ষিকাকে বলে অন্য বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা কর। প্রয়োজন হলে, অভিভাবকের চিঠি নিয়ে যাও।

 

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:

ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.