পঞ্চবটীর সংরক্ষণে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করতে চলেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার পঞ্চবটী উদ্যানের মূল বট-অশ্বত্থ গাছের শাখা প্রশাখার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে গাছের শাখা-প্রশাখার ওই অংশটি ঘুন ধরে ক্ষয়ে যাওয়ার ফলেই ভেঙে পড়েছে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের। |
ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছের একটি অংশ।—নিজস্ব চিত্র। |
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, ওই দিন রাতে প্রবল শব্দ শুনে উদ্যানের কর্মীরা পঞ্চবটীতে গিয়ে দেখেন গাছের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। কালীমন্দির ও দেবত্র এস্টেট-এর পক্ষে কুশল চৌধুরী জানান, প্রতিনিয়ত পঞ্চবটীর প্রতিটি গাছপালাতে ব্লিচিং, পোকা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয়। তবে শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজড়িত বহু প্রাচীন ওই গাছগুলিকে আরও উন্নত প্রযুক্তিতে সংরক্ষণ করা যায় কিনা তার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণ ভবতারিণী মন্দিরের এক পাশে গঙ্গার তীরে নিজের হাতে বট, অশ্বত্থ, আমলকী, বেল ও বকুল গাছ লাগিয়ে এই পঞ্চবটী উদ্যান তৈরি করেছিলেন। ১৮৬৫ সালে সেখানের এক পর্ণকুটিরে তোতাপুরীর নির্দেশে তিন দিন তিন রাত্রি তপস্যা করে অদ্বৈত সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। মাঝে উদ্যানটির বেহাল অবস্থার জন্য বছরখানেক বন্ধ ছিল। পরে ২০০৮ সালে পঞ্চবটী উদ্যান এবং ওই পণর্কুটিরকে নতুনভাবে সাজিয়ে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কুশলবাবু বলেন, “ভেঙে পড়া অংশটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” |